শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল লিমা আক্তার (১৩) নামের শিক্ষার্থী। লিমা স্থানীয় মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ আগষ্ট সোমবার দুপুরে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেফলাই গ্রামের মো. আব্দুল লতিফের মেয়ে লিমাকে (১৩) পাশ্ববর্তী শালচূড়া গ্রামের মো. সুরুজ আলীর ছেলে মো. নুর মোহাম্মদের (১৮) সঙ্গে বাল্যবিবাহের আয়োজন করে। এ খবর পেয়ে দ্রুত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এজেডএম শরীফ হোসেনের নির্দেশে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফোরা ইয়াসমিন ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোফাজ¦ল হোসেন চাঁন ওই ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফোরা ইয়াসমিন বলেন, ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে বিয়ে দেবেন না তাঁরা, এমন অঙ্গীকারনামা শিক্ষার্থী মায়ের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ২০ জুলাই আরজিনা খাতুন (১৩) এবং ২৭ জুলাই শাপলা (১৪) নামে দুই শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এজডেএম শরীফ হোসেন বাল্যবিবাহ বন্ধ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শেরপুর টাইমস/বা.স