শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বধ্যভূমিগুলো যথাযথ ভাবে সংরক্ষিত না হওয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহৃ। এ উপজেলার বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে, আহমদনগর, বগাডুবি, জগতপুর, জুলগাঁও, রাঙ্গামাটি। জানা গেছে, উল্লেখিত স্থানগুলোতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী শতশত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ধরে এনে এখানে নির্যাতন চালাতো। নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা ও পরে গণকবর দেয়া হতো এ স্থান গুলোতে।
কিন্তু এগুলো স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও অরক্ষিত হয়ে পড়ে আছে। ফলে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো হাড়িয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর সদর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে রাস্তার পশ্চিমে কয়ারোড জুলগাঁও গ্রামে ও ১৮ কিলোমিটার উত্তরে রাস্তার পশ্চিমে আহমদনগর বধ্যভূমি ২টি সরকারের তালিকাভূক্ত রয়েছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জুলগাঁও বধ্যভূমির পাশে এলজিইডি’র অর্থায়নে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু স্মৃতিস্তম্ভটি রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে তা এখন গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। আহমদনগর বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ ছাড়া এখানে আর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সরকারের তালিকার বাইরের বধ্যভূমিগুলোও ময়লা আবর্জনায় পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল মান্নান মাষ্টার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ভবিষৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অবহিত করতে হলে এসব বদ্ধভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান গুলো দ্রুত সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। তাই তিনি সরকারীভাবে এসব গণকবর, বধ্যভূমি গুলো সংরক্ষণের দাবী জানান।