শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে বামনতলী খালের উপর প্রায় পাঁচ বছর ধরে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে সেতুটি। এ অবস্থায় প্রায় পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুটি আর সংস্কার করা হয়নি।
ফলে উপজেলার ছয়টি গ্রামের মানুষ চলাচলে আগের মতোই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সেতুটি পুনর্নিমানের জন্য দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩-৯৪ সালের দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ঝিনাইগাতীর মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া নতুন বাজার-তিনানী বাজার সড়কের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাদিরের বাড়ির পূর্বপাশে বামনতলী খালের ওপর প্রায় ২০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণ দীর্ঘ দিন হওয়ায় প্রায় পাঁচ বছর ধরে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বামনতলী খালের ওপর নির্মিত সেতুটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। সেতুর সব অবকাঠামো জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। সেতুর দুই প্রান্তের সংযোগ সড়কের মাটি ধসে গেছে।
একজন পথচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল কাঁধে নিয়ে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করছে।
রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের কৃষক লাভলু মিয়া বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে সেতুটি এ অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে তাদেও উৎপাদিত ফসল ও কৃষিপণ্য বাজারজাত করার জন্য খালটি পার হওয়া ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থা নেই।
সেতুটি নির্মাণের পর এলাকাবাসী খুব খুশি হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণকাল দীর্ঘ হওয়ায় পাঁচ বছর ধরে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকায় চলাচলে কষ্ট হচ্ছে।
রাঙ্গামাটিয়া সরাকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদির বলেন,‘সেতুটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।’
মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাদির বলেন, ‘এলাকাবাসীর দুর্ভোগ নিরসনে দ্রুত সময়ের মধ্যেই সেতুটি পুনর্নিমানের জন্য দাবি জানিয়েছেন তিনি।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা করবেন।’
উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এলাকাবাসীর দুর্ভোগ নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ওই খালের সেতুটি পুননির্মাণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।’