প্রবল বর্ষণ ও সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলার রামেরকুড়া এলাকায় মহারশী নদীর বাঁধ তলিয়ে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, ঝিনাইগাতী বাজার ও অর্ধশত বাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ঢলের পানিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঝিনাইগাতীতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। সেইসঙ্গে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবল বেগে মহারশি নদীর রামেরকুড়া এলাকার বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশ দিয়ে ঝিনাইগাতী বাজারে প্রবেশ করে।
এতে ঝিনাইগাতী বাজারে অবস্থিত উপজেলা পরিষদ ভবন, ডাকঘর, সাবরেজিস্ট্রার, নলকুড়া ভূমি কার্যালয়, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের চারপাশের এলাকা প্লাবিত হয়। সেইসঙ্গে ঝিনাইগাতী-রাংটিয়া সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। মহারশি নদীর রামেরকুড়া এলাকার অর্ধশত বাড়ি পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন জানান, উপজেলার দিঘীরপাড় মহারশী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে চতল, মাটিয়াপাড়া, রামনগর, সুরিহারা, কালিনগর, সারিকালিনগর, প্রতাবনগর, দাড়িয়ারপাড়সহ বিভিন্ন গ্রামসমূহে শত শত ঘরবাড়িতে ঢলের পানি প্রবেশ করেছে। কৃষকদের আমন ধান, বিভিন্ন সবজি ফসল ও পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে।
ঝিনাইগাতী বণিক সমিতির সভাপতি আবু বাহার জানান, ঝিনাইগাতী সদর বাজারের মসজিদ রোডসহ বাজারের একাংশ হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু দোকান-পাটে পানি প্রবেশ করেছে, পানি নেমে গেলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন,‘পাহাড়ী ঢলের পানি বিভিন্ন এলাকাতে প্রবেশ করেছে। বৃষ্টি না হলে রাতের মধ্যে পানি নেমে যাবে। আশা করছি ফসলের কোন ক্ষতি হবে না।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ বলেন, ‘অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে মহারশী নদীর বাঁধের কিছু অংশ তলিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরসহ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে ঢলে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আশা করছি রাতের মধ্যে এ পানি নেমে যাবে।’