‘পাংআন ঘিসিংসি কষ্টমানতো (প্রচন্ড শীতে খুব কষ্ট পাইতেছিলাম); গনচে কম্বল মানকে চালিজা সারাংতাৎহা খেংখে টং মান্নাকা (এখন একখান কম্বল পাইয়া শীতের অত্যাচার থাইকা বাঁচতে পারুম); ভগবানযা স্যারনে তেনতানখেন (সৃষ্টিকর্তা স্যারের মঙ্গল করুক)।’ কথাগুলো ভারতের মেঘালয় রাজ্য ঘেঁষা শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের পাহাড়ী রাংটিয়া গ্রামের কোচআলাই (৯০) এর।
শনিবার রাত নয়টার দিকে ইউএনও’র দেওয়া কম্বল পেয়ে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এভাবেই অনুভূতি ব্যক্ত করেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠির এ নারী।
শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত সাড়ে দশটা পযর্ন্ত গারো পাহাড়ের রাংটিয়া এলাকার কোচ, হাজং, প্রতাবনগর, ও কান্দুলী আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত দেড় শতাধিক দরিদ্র শীতার্তকে কম্বল দিয়ে পরম মমতায় জড়িয়ে ধরলেন ইউএনও রুবেল মাহমুদ।
এ সময় ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ঝিনাইগাতী শাখার সাধারন সম্পাদক জীবন চক্রবতী, কোচ নেতা শিক্ষক যুগল কিশোর কোচ, শেরপুর ইয়্যুথ রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারন সম্পাদক জাহিদুল হক মনির উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শুক্রবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে শতাধিক শীতার্তকে কম্বল দেন ইউএনও।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ বলেন, এ উপজেলাটি পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় এখানে শীতের পরিমানটা অনেক বেশি। একজন শীতার্ত মানুষকে খুঁজে পেতে হলে রাতের কোনো বিকল্প নেই, তাই রাতেই কম্বল বিতরণের কাজগুলো করার চেষ্টা করছি। দিনে গেলে অফিসে সেবা নিতে আসা লোকজন তাদের প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হতো।