গত সপ্তাহের টানা তিন দিনের ভারি বর্ষণ ও সীমান্তের ওপার থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার আহাম্মদনগর-দিঘীরপাড় সড়কের নুরুল ইসলামের বাড়ির কাছে একটি ইউড্রেনসহ প্রায় ৮২ ফুট সড়ক ভেঙে গেছে।
শুধু তাই নয় এ পথে চলাচলকারীদের বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহৃত রাস্তা মহারশ্মি নদীর বাঁধের প্রায় ৫০ ফুট ভেঙে গেছে। এতে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৩ হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার আহাম্মদনগর-দিঘীরপাড় সড়কের নুরুল ইসলামের বাড়ির কাছে একটি ইউড্রেনসহ প্রায় ৮২ ফুট সড়ক ভেঙে একটি খালের সৃষ্টি হয়েছে। এ খালটি পার হওয়ার জন্য প্লাস্টিকের চারটি ড্রাম ও বাঁশ দিয়ে ভেলা তৈরী করা হয়েছে। এখন তারা ওই ভেলার উপর দিয়ে মানুষ পার করার জন্য জনপ্রতি পাঁচ টাকা এবং মালামাল পার করার জন্য আলাদা টাকা নিচ্ছেন।
অনেকেই পড়নের লুঙ্গি হাঁটুর উপর তোলে ও পায়ের জুতা হাতে নিয়ে পার হচ্ছেন। সাইকেল আরোহীরা, তাদের সাইকেল কাঁধে নিয়ে পার হচ্ছেন ওই খাল। আহাম্মদনগর-দিঘীরপাড় সড়কটি মাদ্রাসা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটারের বেশি এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইট-বালি, ঢালাই ও বিটুমিন উঠে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় ভাঙার ওপারের মানুষ জন তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না। মুরগীর খাদ্যও নিতে পারছেন না খামারিরা। চলাচল করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।’
মাসুম বিল্ল্যাহ বলেন, ‘মহাবিপদে আছি, ঝিনাইগাতী বাজারে যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। সড়কও ভাঙছে, নদীর পাড়ও ভাঙছে। দ্রত সময়ের মধ্যেই তিনি সড়কের সংস্কাররের দাবি জানান তিনি।’
সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন চাঁন বলেন, ‘সড়ক ভেঙে গিয়ে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দ্রæত এ সড়কটি সংস্কার করার দাবি জানান তিনি।’
এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ভেঙে যাওয়া সড়কটি পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের চলাচলের জন্য দ্রæত সময়ের মধ্যেই অস্থায়ীভাবে কাঠ বা বাঁশের একটি সাঁকো তৈরী করে দেওয়া হবে। এছাড়া ওই স্থানে ৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য প্রাক্কলন তৈরী করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।’