শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক যুবকের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন উপজেলার গজারীকুড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মো. শাকিল (২২) ও রহমত (২০)। সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে রোববার দিবাগত গভীর রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটি উপজেলার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও দরিদ্র রিকশাচালকের মেয়ে।
রোববার দুপুরে জেলার মধুটিলা ইকোপার্কের পেছনের জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে প্রতিবেশী শাকিল মাঝেমধ্যে উত্যক্ত করতেন। রোববার সকাল দশটার দিকে ছাত্রীটি বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়। পথিমধ্যে ছাত্রীটির দুর্সম্পর্কের ভাই রহমত তাকে (ছাত্রী) স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে এজাহারনামীয় আসামি আলমগীরের (২০) ইজিবাইকে তুলেন।
এরপর তারা ছাত্রীটিকে স্কুলে না নামিয়ে পূর্বপরিকল্পনানুযায়ী প্রলুব্ধ করে ও ফুঁসলিয়ে মধুটিলা ইকোপার্কের পেছনের জঙ্গলে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা শাকিল তার অন্য দুই সহযোগী আল আমিন (২০) ও আলফাজের (২২) সহযোগিতায় জোরপূর্বক ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পরপরই আসামিরা পালিয়ে যান। পরে ছাত্রীটির ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে শাকিলকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত রোববার রাতে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাকিল ও রহমতকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ ও জেলা সদর হাসপাতালে ছাত্রীটির ডাক্তারী পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে।