শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিকল থাকায় পানি নিঃস্কাশনের আর কোন উপায় না থাকার কারণে অল্প বৃষ্টিতেই বাজারে হাঁটু পানি জমে থাকে। আর জমে থাকা সেই পানি নামতে লাগে অন্তত তিন-চার ঘন্টা। পানি নেমে গেলেও ড্রেনের ময়লা আবর্জনা থাকে দুই-তিন দিন। তাই বৃষ্টিতে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ পথচারীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, স¤প্রতি বাজারের ভিতরের অংশে ড্রেনের সংস্কারকাজ করা হলেও দীর্ঘদিন ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় তা ভরাট হয়ে পানিনিষ্কাশনের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় গলির পানি চলে আসছে রাস্তার উপরে। ফলে চলাফেরার ভোগান্তির সঙ্গে পচা, দুর্গন্ধযুক্ত সেই পানি বাড়াচ্ছে রোগবালাইয়ের আশঙ্কা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ শনিবার দুপুর দুইটার দিকে প্রায় ২০ মিনিটের বৃষ্টির পানি আটকে বাজারের রাস্তাগুলোতে হাঁটু পানি জমে আছে। আর রাস্তার পাশে সেই পানির উপরে বাশেঁর তৈরী মাচার ওপরে বসে কাঁচা-মাল বিক্রি করছেন অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ওই পচা, দুর্গন্ধযুক্ত পানি পাড়ি দিয়ে ক্রেতা ও পথচারীরা হাঁটছেন।
ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, এ পচা পানি দিয়ে হেঁটে বাজার করা (পণ্য কেনা) অসম্ভব। নোংরা পানিতে গা ঘিনঘিন করে। পানি সরার কোনো জায়গা নেই। তাই একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় যেভাবে পানি জমে থাকে, তাতে হেঁটে চলাচল করা কষ্টকর।
সবজি বিক্রেতা আলম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই এ রকম অবস্থা। এ পচা পানিতে ব্যবসা করা খুব মুশকিল। জমা (রাজস্ব) তো কম নেয় না, এ জমার টাকা দিয়ে কি করে?
জানতে চাইলে ইউএনও রুবেল মাহমুদ বলেন, এই সমস্যা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।