শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সালমা বেগম (১৯) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে স্বামী বাবুলের বাড়ির গোসলখানা থেকে তার (সালমা) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সালমা উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী ও গজারীকুড়া গ্রামের ছামিউল হকের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে বাবুল মিয়ার সঙ্গে গজারীকুড়া গ্রামের ছামিউল হকের মেয়ে সালমার বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘরে ছয় মাসের একটি কন্যা শিশু আছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে সালমার পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে খৈলকুড়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বাবুলের বাড়ির গোসলখানার ভেতরে গৃহবধূ সালমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। বিষয়টি তারা পুলিশকে জানান। সংবাদ পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে গোসলখানার দরজা ভেঙে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে বাঁধা সালমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুকৌশলে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী সালমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সালমার বাবা ছামিউল হক অভিযোগ করে বলেন, স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন।
ঝিনাইগাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত সালমার গলায় রশির আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।