শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে তাহমিনা আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের বাঐবাধা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাহমিনা উপজেলার বাঐবাধা গ্রামের নবী হোসেনের স্ত্রী ও নলকুড়া গ্রামের মো. নূরুজ্জামানের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে বাঐবাধা গ্রামের মৃত আজগর দেওয়ানের ছেলে সেনাসদস্য নবী হোসেনের সঙ্গে তাহমিনা আক্তারের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাহমিনার পারিবারিক কলহ চলে আসছিল।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তাহমিনা শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে টেলিভিশন দেখে ও রাতের খাবার খেয়ে তার (তাহমিনা) বসতঘরে চলে যান। এরপর রাত সাড়ে দশটার দিকে বাড়ির লোকজন বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাহমিনার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় মৃত তাহমিনার বাবা নুরুজ্জামান বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করেছেন। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।