শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালকের পর এবার মানিককুড়া গ্রামের আরও এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের ২০টি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো দুই জনে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে রঙের কাজ করতেন। তার বয়স ৪৫ বছর। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে গত ২২ মার্চ বাড়িতে আসেন, কিছুদিন পর তার জ্বর ও শ্বাস কষ্ট দেখা দেন। গত ৯ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তার বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অণুজীববিজ্ঞান (মাইক্রোবায়োলজি) বিভাগে করোনা পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির আক্রান্তের বিষয়টি শনাক্ত হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন চিকিৎসক তার বাড়িতে গিয়ে তাকে নিয়ে এসে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। একই সঙ্গে ওই বাড়িসহ আশপাশের ২০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন।
ইউএনও রুবেল মাহমুদ বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই বাড়িসহ আশপাশের ২০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে এবং তার পরিবার ও বাড়ির অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।