শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় অবিরাম বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল শুক্রবার ও ২২ এপ্রিল শনিবার ২ দিনের অবিরাম বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মহারশী ও সোমেশ্বরী নদীর পানির স্রোতে দু’কূল উপচে পাহাড়ী ঢলে উপজেলার ঝিনাইগাতী সদর, ধানশাইল, কাংশা, নলকুড়া, গৌরীপুর সহ অন্যান্য ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এতে বহু লোক পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, অবিরাম বর্ষন ও ভারতের মেঘালয় প্রদেশ থেকে নেমে আসা নদী দিয়ে খরস্রোতের পানির তোড়ে এলাকার বহু রাস্তাঘাট, ছোট ছোট পুল কালভার্ট, কাঁচা-পাকা বাড়িঘর সহ বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার মহারশী নদীর পূর্বের ভাঙা বাঁধ দিয়ে সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের সম্মুখ দিয়ে উপজেলা পরিষদে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে। এতে যুব উন্নয়ন, মহিলা বিষয়ক ও পোষ্ট অফিসের সামনে হাঁটু পানি জমে রয়েছে।
উপজেলার ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের রামেরকুড়া, তামাগাঁও, দিঘীরপাড়, মাটিয়াপাড়া, বগাডুবি, সারিকালিনগর, দড়িকালিনগর, কালিনগর, ধানশাইল ইউনিয়নের ধানশাইল বাজার, মাদারপুর, বাগেরভিটা, দাড়িয়ার পাড়, কান্দুলী, চাপাঝোড়া, বিলাশপুর, দুপুরিয়া, কাংশা ইউনিয়নের আয়নাপুর, বাকাকুড়া, গান্ধিগাঁও, গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও জিগাতলা, বনগাঁও চতল সহ আরও অনেক গ্রাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
বন্যা কবলিত ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.জেড.এম. শরীফ হোসেন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।