শেরপুরের ঝিনাইগাতির প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বালুদস্যু ছামিউল হক ফকিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে সামাজিক বনায়নের অংশীদার ও এলাকাবাসী। সোমবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার সন্ধ্যাকুড়া মহারশি নদীর ব্রিজের উপর শতাধিক লোকের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঝিনাইগাতির প্রভাবশালী কোটিপতি ব্যবসায়ী ছামিউল হক ফকির দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত তথাকথিত হাইকোর্টের রীটের দোহাই দিয়ে ঝিনাইগাতির মহারশি নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধভাবে বালু মহাল গড়ে তোলেছেন। এসব বালু মহাল থেকে প্রতিনিয়ত শতশত ট্রাক বালু বিক্রির রয়েলিটি আদায় করে আজ সে কোাটপতি। তার বালু দস্যুতার কারণে সামাজিক বনায়ন নষ্টের পাশাপাশি মহারশির নদীতে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সীমান্ত সড়কের ব্রিজ হুমকীতে পড়েছে। নদী তীরবর্তী সমতল ও পাহাড়ি বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে, ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি। এমতাবস্থায় বারবার প্রশাসন কর্তৃক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও বন বিভাগের নানামুখী বাধার পরও সে বহাল তবিয়তে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে। বালু উত্তোলনে কেউ বাধা দিলে উল্টো আসে হুমকী। সম্প্রতি তার অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে উপজেলার গোমরা মৌজার উডলট বাগানটির একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। এমতাবস্থায় গত বছরের অক্টোবরে তার বিরুদ্ধে সন্ধ্যাকুড়া বিট কর্মকর্তা রাশেদ ইবনে সিরাজ বাদী হয়ে বন আইনে মামলা করেন। আদালতের সমন পরপর তিন বার অবমাননা করেন ছামিউল ফকির।
এক পর্যায়ে গত ৩০ এপ্রিল ছামিউল ফকির শেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। এমতাবস্থায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না দিলে অদূর ভবিষ্যতে ছাড়া পেয়ে সে পরিবেশের বড় ধরণের ক্ষতিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে হুমকী হয়ে উঠতে পারেন।
গোমরা মৌজার বন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শাহজাহানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে সন্ধ্যাকুড়া মৌজার সভাপতি শাহীনূর ইসলাম, হলদিগ্রাম মৌজার সভাপতি আব্দুল্লাহ, শাল-কপিস বন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কলিম উদ্দিন, সদস্য আরমান ভুইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।