ম্যাচের বয়স ১৫ মিনিট হওয়ার আগেই পেলেন জোড়া পেনাল্টি। অব্যর্থ শটে করলেন জোড়া গোল, জাগালেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। সেই হ্যাটট্রিক তুলে নিতে কোনো ভুল হয়নি পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। পাশাপাশি একটি করে গোল করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেস ও হোয়াও পালিনহা।
মঙ্গলবার রাতে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বের ম্যাচে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দশম হ্যাটট্রিক করেছেন রোনালদো। যার সুবাদে ৫-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে তার দল পর্তুগাল। সবমিলিয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারে রোনালদোর এটি ৫৮তম হ্যাটট্রিক।
নিজেদের ঘরের মাঠে তুলনামূলক দুর্বল লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে মাত্র ১৭ মিনিট সময় লাগে ফার্নান্দো সান্তোসের দলের। ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করেন রোনালদো। ডি-বক্সের মধ্যে বার্নার্দো সিলভা ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পেয়েছিলো পর্তুগাল।
এর দুই মিনিট পর ডি-বক্সের মধ্যে রোনালদোকে ফাউল করেন লুক্সেমবার্গ গোলরক্ষক। আবার পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। আবারও বল জালে জড়ান রোনালদো। কিন্তু সেই শটের সময় আগে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন পেপে। তাই নিতে হয় ফিরতি শট। তাতেও সমস্যা হয়নি রোনালদোর। সহজেই দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি।
ম্যাচের ১৭ মিনিটের সময় লুক্সেমবার্গকে আরও কোণঠাসা করে দেন রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সতীর্থ ব্রুনো ফার্নান্দেস। এবার বার্নার্দো সিলভার থ্রু বল দারুণ জায়গায় পেয়ে নিচু শটে জাল কাঁপান তারকা মিডফিল্ডার। প্রথমার্ধে আর হয়নি কোনো গোল, ৩-০তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে হালিপূরণের দায়িত্বটা নেন পালিনহা। ম্যাচের ৬৮ মিনিটের সময় রোনালদোর বাইসাইকেল কোনোমতে কর্নারের মাধ্যমে ফেরান গোলরক্ষক। ব্রুনো ফার্নান্দেসের নেয়ার সেই কর্নার থেকে আসা বলে সরাসরি হেডে স্কোরলাইন ৪-০ করেন স্পোর্টিং সিপির মিডফিল্ডার পালিনহা।
পর্তুগালের জয় প্রায় নিশ্চিত হলেও, তখনো বাকি ছিলো রোনালদোর হ্যাটট্রিক। ভক্ত-সমর্থকদের হতাশ করেননি তিনি। ম্যাচের ৮৭ মিনিটের সময় ব্রুনো ফার্নান্দেসের ক্রসে লাফিয়ে ওঠা হেডে ম্যাচে নিজের তৃতীয় গোলটি করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি অর জয়ী। যার সুবাদে পূরণ হয় তার হ্যাটট্রিক।
এই জয়ের পর ছয় ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এ গ্রুপের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পর্তুগাল। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সার্বিয়া