বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা শুনেছি যদি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমাবেশে না যায়, তা হলে তিনদিনের বেতন কাটা হবে। এটা ঘোষণা করা হয়নি, কিন্তু ভেতরে ভেতরে করা হচ্ছে। জোর করে মানুষের হৃদয় জয় করা যায় না। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রা প্রসঙ্গে আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে রিজভী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনি এটা আজকে জুলুম করছেন। আপনার বাবা বাকশাল করেছিল, তখন সেনাবাহিনী, বিডিআর, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমাবেশে যোগদান করতে হতো। আজকে তার কন্যার আমলে নতুন বাকশাল দেখছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেসকো ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় আজ শনিবার দেশজুড়ে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে সংস্কৃতিমন্ত্রণালয়। রিজভী বলেন, কেবিনেট সেক্রেটারি পলিটিক্যাল নয়, সরকারি কর্মকর্তা। তিনি নির্দেশ জারি করেছেন সমাবেশে যোগদানের জন্য তাহলে কি এটা গণতান্ত্রিক না একদলীয় দুঃশাসনের দেশ। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম এই মহাসচিব অভিযোগ করে আরো বলেন, খালেদা জিয়ার সমাবেশে বিএনপির একজন জেলা সভাপতি যোগ দিতে চেয়েছিলেন বলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলো। অথচ গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সচিব চিঠি দিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আজকের সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার জন্য। তাহলে এটা কি অন্যায় নয়? এ সময় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু,বিএনপির নির্বাহী কমিটির বরিশাল বিভাগী সাংগঠনি সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন,বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন।