২০১৭ সালের দায়ের কৃত হত্যা প্রচেষ্টার একটি মামলায় শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: হযরত আলীকে জামিনের আবেদন না মুঞ্জর করে জেল হাজতে পাঠানোর পর গত ৫ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে জামিন পেলেও আবারো জেল গেইট থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোর উদ্ধার ঘটনায় দায়েরকৃত আরেক মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে , ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টম্বর শেরপুর সদর উপজেলার ঘুঘুরাকান্দিতে স্থানীয় বিএনপি ঈদপূনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: হযরত আলী বক্তব্যদান কালে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটুক্তিমূলক বক্তব্য রাখেন। এর প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামীলীগ প্রতিবাদ মিছিল বের করে। এসময় দু পক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামীলীগের ৮জন কর্মী আহত হয়।
পরে এ ঘটনায় হযরত আলীকে প্রধান আসামী করে বেতমারী ঘুঘুরা কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম ২৯জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ তদন্তশেষে গত ১২ জুন-২০১৮ তারিখে ২২ জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চুড়ান্ত অভিযোগ পত্র আদালতে দায়ের করেন। এ ঘটনায় ২৭ আগষ্ট দুপুরে স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত হযরত আলীকে জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু ওইদিন সন্ধায় কারা ফটক থেকে আবারো গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গেছে , জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীকে বাগরাকশা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার ঘটনায় একটি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে ওই মামলায় শোন এরেষ্ট দেখানো হয়েছে ।