‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ বর্জন করার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই প্রতিহিংসার রাজনীতির জন্ম দিয়েছিলেন। ইনডেমনিটি পাস করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিলেন তিনি। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিনের কেক কাটেন। তার সরকারের সময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করে নেতৃত্বশূন্য করার চক্রান্ত হয়েছিল। বেছে বেছে আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের হত্যা করা হয়েছিল। বিএনপির এসব প্রতিহিংসামূলক কাজের জন্য জাতির কাছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের মানসপূত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৭তম জন্মবার্ষিকী এবং গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসে বিভিন্ন সময় শকুনেরা খামচে ধরেছে। এর অন্যতম নায়ক জিয়াউর রহমান। জিয়ার পর সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের ক্ষমতা দখলের পেছনে খালেদা জিয়ার সায় ছিল। তার প্রমাণ খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও তার স্বামী জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার করেননি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির জনসভায় কোনো বোমা হামলা হয়নি। বিএনপি নেতাদের হত্যা করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। গণতন্ত্রের প্রশ্নে তিনি কখনোই আপোষ করেননি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অবান্তর কথা না বলে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখুন। নিজেদের দল সংগঠিত করুন। আওয়ামী লীগ চায় বিএনপি দেশের রাজনীতিতে ভূমিকা রাখুক।’
এ সময় উপমহাদেশের রাজনীতি ও দেশের বিভিন্ন অর্জনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আমিনুল ইসলাম আমিন, শাহে আলম মুরাদ, কামাল চৌধুরী, আখতার হোসেন, অরুন সরকার রানা, রফিকুল আলম, অরুনা বিশ্বাস প্রমুখ।