কাগজ-কলমের হিসাবে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলেও টাইগারদের সাম্প্রতিক ফর্ম ও একদিনের ম্যাচের ধারাবাহিকতা ১৬ কোটি বাঙালিকে আশ্বস্ত করেছে। আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছি, বাংলাদেশ এবার সেমিফাইনাল খেলবে।
যে কোনো দলকে যে বাংলাদেশ হারাতে পারে, বহু আগেই তা টাইগাররা প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশ দল যদি তাদের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারে, তাহলে সেমিফাইনাল নয়; আমরা ট্রফি জেতার আশা করলেও ভুল হবে না। ক্রিকেটে কাগজ-কলমের হিসাব সবসময় মিলে না।
যে কোনো সময় যে কোনো কিছু ঘটবে- এর নামই ক্রিকেট। বাংলাদেশের ক্রিকেট এত এগিয়ে যাওয়ার পেছনে দর্শক-সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বাংলাদেশ দল খেলতে গেলে গ্যালারিতে এক টুকরো লাল-সবুজের বাংলাদেশ দেখতে পায়। এতে ক্রিকেটাররা উজ্জীবিত হয়।
দর্শক-সমর্থকদের অবদান ক্রিকেটাররা অকপটে স্বীকার করেন। ক্রিকেটপ্রেমী বাংলাদেশের সমর্থকরা একটু বেশিই ইমোশনাল। বাংলাদেশের জয়ে উচ্ছ্বাস ও বিজয় মিছিলে আমরা মেতে উঠি। প্রশংসায় ভাসাই ক্রিকেটারদের।
অন্যদিকে বাংলাদেশ দল যদি খারাপ খেলে কিংবা পরাজিত হয়, তখন অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেটারদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করি। টেলিভিশন চ্যানেল এবং প্রিন্ট মিডিয়াগুলো খেলোয়াড়দের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করে; যার ফলে অনেক সময় ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
আমাদের মনে রাখতে হবে, এক ম্যাচ হারলে পরের ম্যাচ তারা জিততেও পারে। ১৯৯২ সালে টানা ৪ ম্যাচ হেরেও বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। অপ্রত্যাশিতভাবে বাংলাদেশ দল বাদবাকি সব ম্যাচ হেরে এলেও আমরা তাদের ফেলে দিতে পারব না।
ভবিষ্যতে ভালো খেলার জন্য তাদের উৎসাহ জোগাতে হবে। হারলেও বাংলাদেশ, জিতলেও বাংলাদেশ- এমন মানসিকতা নিয়ে তাদের সমর্থন দিয়ে যাওয়া উচিত। এমনও তো হতে পারে- আমাদের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে টাইগাররা ভালো খেলে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়েই দেশে ফিরল।