জামালপুর সদর উপজেলার দেওলিয়াবাড়ি গ্রামে জোড়া ঘটনায় এলাকায় শোক ও আতংক বিরাজ করছে। হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন পিপিএম, ওসি নাছিমুল ইসলামসহ আইনশৃংখলা বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। নৃশংস হত্যাকান্ডটি নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝিও ঘটনাস্থলে আসছেন।
ধারণা করা হচ্ছে-২আগস্ট সকাল ৮টার মধ্যে যে কোন সময়ে খুনের ঘটনাটি ঘটতে পারে। নিহতরা হলো-বড় বোন ভাবনা আক্তার (১৪)। সে মান্নাফিয়া রহিমা কাজেম গার্লস হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ছোট বোন-লুবনা আক্তার (১০)। সে মতিউর রহমান একাডেমীর ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। নিহতের বাবা শামিম হোসাইন মালয়েশিয়া প্রবাসী। দু’বোন নিহত হবার আগে প্রতিবেশী ও স্কুল শিক্ষক জিয়াউল হকের নিকট ইংরেজী প্রাইভেট পড়েছে।
হত্যাকান্ডের সময় সহোদরের মাতা তাছলিমা বেগম বাসায় ছিলেন না। তিনি নিহত হবার আগের রাতেই; জমিসংক্রান্ত এবং পারিবারিক বিশেষ কাজে শহরের বাগেরহাটা তার পিতার বাসায় ছিলেন। পরদিন সকালে বাসায় ফিরে ঘরের মেঝেতে নিজ সন্তানদ্বয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন।
ওসি নাছিমুল ইসলাম জানিয়েছেন-হত্যাকান্ডের আলামত সংগ্রহে সিআইডি ফরেনসিকে একটি টীম আসছেন। হত্যার মুটিভ উদ্বারে সতর্কতার সাথে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। লাশের পাশে রক্তমাখা একটি কেচি পাওয়া গেছে। সম্ভবত: ঘাতকরা এই কেচি দিয়েই খুন করতে পারে।
পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান-প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এবং মামলার স্বার্থে নিহতদের মা-তাছলিমাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মামলা ও লাশের ময়না তদন্তের আগে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রাইভেট শিক্ষক জিয়াউল হক জানান-প্রতিদিনের ন্যায় আজো তাদেরকে পড়ানো হয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ কমপড়েছে। তাদের বিশেষ অনুরোধে নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুটি দিয়েছি। বাড়ি ফেরার পর পরই খুনের খবরে বিস্মিত হই।