গ্রেপ্তারকৃত শাহীন বাঘা মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুরের দিঘলবাড়ি গ্রামের মৃত বাদশা বাঘার ছেলে। বাদশা বিড়ির মালিকও তিনি।
শাহীন বাঘাকে মেলান্দহ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। র্যাব-১৪ এর ডিএডি মো. রাশেদুজ্জামান বাদী হয়ে শাহীন বাঘাকে আসামি করে কর ও শুল্ক ফাঁকির অভিয়োগ এনে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার বিকেল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৪ স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার এস এম সবুজ রানা জানান, শনিবার বেলা পৌনে ১১ টায় র্যাব জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিকুজ্জামানের নেতৃত্বে মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুরের দিঘলবাড়ি এলাকায় বাদশা বিড়ি ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালানো হয়।
ফ্যাক্টরিতে জাল ব্যান্ডরোলে মোড়ানো প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ১৬টি বস্তায় ১৮ হাজার ১৫শ’ বাদশা বিড়ির প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জাল ব্যান্ডরোলে মোড়ানো বিড়ি জব্ধ ও বাদশা বিড়ির ফ্যাক্টরির মালিক শাহীন বাঘাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে মেলান্দহ থানায় সোপর্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে মেলান্দহ থানার ওসি মো. মাঈদুল ইসলাম জানিয়েছেন, র্যাবের উদ্ধারকৃত অবৈধ জাল ব্যান্ডরোলে মোড়ানো ১৬ বস্তা বিড়ি জব্ধ করা হয়েছে। বিড়ির মালিক শাহীন বাঘার বিরুদ্ধে রাজস্ব শুল্ক, কর ফাঁকি ও জালিয়াতির অভিযোগে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি শাহীন বাঘাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহ বলেন, জেলার নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহমেদ জানিয়েছেন, সরকারের রাজস্ব শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে বিড়ির ব্যবসা করেছে, যা অনৈতিক। যুবলীগ অন্যায়, অনৈতিক ও অবৈধ কোনো কাজে প্রশ্রয় দেয়নি, এ বিষয়েও দেবে না। দলীয় ফোরামে বসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খোঁজখবর বা তদন্ত করে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।