জামালপুরের মেলান্দহে গণধর্ষিতা সেই স্কুল ছাত্রী(১৪)কে পরিত্যক্ত দুরমুঠ রেলস্টেশনের মালবাহী একটি বগি থেকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উদ্ধার হয়েছে। ধর্ষিতা শ্যামপুর হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। সে নয়ানগর গ্রামের সুরুজ আলী (ছন্দনাম) মেয়ে।
জানাগেছে, গত বুধবার সকালে শাহ্জাহান আরিফ মাস্টারের বাড়িতে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে যাবার পথে মেঘারবাড়ি গ্রামের মোজ্জাম্মেল হকসহ ৩/৪জনে মুখে রুমাল চেপে অজ্ঞান করে। এরপর সিএনজিতে তোলে দুরমুঠ রেলস্টেশনের পরিত্যাক্ত বগিতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ছাত্রীর অবস্থার অবণতি হলে ধর্ষকরা কেটে পড়ে। জ্ঞান ফিরলে ধর্ষিতার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ছাত্রীকে বগি থেকে নামিয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে রাখে।
জানাজানি হবার স্বজনরা পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্বার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। ওদিকে ছাত্রীর অবস্থা ক্রমেই অবণতি হতে থাকলে রাতে মেলান্দহ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ছাত্রীর পিতা জানান-আমরা ঢাকায় থাকতাম। মেয়ে নানীর কাছেই থাকতো। ওইদিন দুপুরে মোজাম্মেল হকের বন্ধু সুজন ফোনে অপহরণের কথা আমাদের জানায়।
এলাকায় এসে বারবার পুলিশের কাছে ধর্ণা দেই। ইতোমধ্যেই মেয়ের সন্ধান পেয়ে যাই। ততক্ষণে আমার সর্বনাশ।
অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল করিম জানান-মামলা দিলে ব্যবস্থা নিব। উদ্ধারকারী উপপুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন-মেয়ের বাবাকে মামলা করতে থানায় আনেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক জানান-অচেতন অবস্থায় ছাত্রীকে যখন ভর্তি করা হয়েছে। পরদিন জ্ঞান ফিরলেও মুখের জবানবন্দি দিতে পারেনি। তার মা-বাবার কাছে ধর্ষণের বিবরণ শুনে মেডিকেলের জন্য জামালপুর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে