ওএসডি হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের খাস কামরায় তার সঙ্গে এক নারী অফিস সহকারীর ‘আপত্তিকর’ ভিডিওটি প্রকাশ করা ঠিক হইনি বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল।
আজ শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ‘নুসরাত হত্যার সঠিক বিচার নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে আনবে’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল।
সম্প্রতি ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ডিসি আহমেদ কবীরকে ওএসডি করার পাশাপাশি বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।
সুলতানা কামাল বলেন, ‘যারা এটাকে ভাইরাল করেছে, খুব একটা সুরুচির পরিচয় দেয়নি। সংস্কৃতিবান ব্যক্তি কিন্তু সংযমী হন। কতখানি সে করতে পারে, কতখানি সে করতে পারে না; কার প্রাইভেসিতে যুক্ত করতে পারে আর কতটুকু পারে না সেটাও। আমাদের সংস্কৃতি হয়ে গেছে, কে কাকে কিভাবে জব্দ করবে। প্রযুক্তির ব্যবহারেও জব্দ করার প্রবণতা এসেছে।’
এই মানবাধিকারকর্মী আরও বলেন, ‘এখানে আমাদের যে বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে, পারস্পরিক সম্পর্কপারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হবে। সেটা যখন হয় না, সেটা তখন নির্যাতনের পর্যায়ে চলে যায়। নারীও নির্যাতকের ভূমিকায় থাকতে পারে, পুরুষও নির্যাতকের ভূমিকায় থাকতে পারে। কথা হচ্ছে, এখানে (ভিডিওর ঘটনা) যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে যে, কেউ একজন আসলেই দোষ করেছেন, সেই দোষের বিচারটা যেন হয়।’
কী ছিল সেই ভিডিওতে?
ওই ভিডিওতে দেখা যাওয়া পুরুষটিকে অনেকেই উল্লেখিত ডিসি বলে চিহ্নিত করেন। আর যে কক্ষটি দেখা গেছে ভিডিওটিতে, সেটিকে ডিসির কার্যালয় সংলগ্ন খাস কামরা বলে চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশের অনেক সরকারি দপ্তরেই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য খাস কামরার বন্দোবস্ত আছে।
ভিডিওর শেষ পর্যায়ে খাস কামরার বিছানায় দুজনকে শুয়েও থাকতে দেখা যায়। এ সময় ভিডিওতে থাকা পুরুষটি সম্পূর্ণ নগ্ন ছিলেন। ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ শোরগোল তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট জেলার স্থানীয় সাংবাদিকরা ওই ডিসির কাছে ব্যাপারটি নিয়ে প্রশ্ন করেন। ওই ডিসি তখন দাবি করেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিটি তিনি নন। কিন্তু খাস কামরাটি তারই। পরে সেই ভিডিওর জের ধরেই ডিসিকে ওএসডি করা হয়।