আলোচিত-সমালোচিত ভারতীয় ইসলাম ধর্মবিষয়ক বক্তা জাকির নায়েককে নিজেদের দেশে আর রাখতে চান না মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ।
জাকির নায়েককে ‘অনাহূত অতিথি’ ও ‘কট্টর’ সম্বোধন করে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, ‘অন্য কোনো দেশ জাকির নায়েককে নিতে চায় না বলেই তাকে আমাদের এখানে রাখতে হচ্ছে।’
সম্প্রতি জাকির নায়েকের বিষয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সব বলেন মাহাথির।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘জাকির নায়েকের কট্টর দর্শন আমাদের দেশের জন্য হুমকি।
তবে চলতি বছরের জুনেই জাকির নায়েকের ব্যাপারে ভিন্নমত দিয়েছিলেন মাহাথির। তিনি জাকির নায়েক যত দিন চাইবেন মালয়েশিয়ায় থাকতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন।
টিআরটির সাক্ষাৎকারে মাহাথির মোহাম্মদ আরও বলেন, আমাদের দেশে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের ও ধর্মের মানুষ আছে। আমরা এমন কাউকে চাই না, যার ধর্ম সম্পর্কে কট্টর চিন্তাভাবনা রয়েছে। তাকে আবার অন্য কোথাও পাঠানোও কঠিন। কারণ অনেক দেশ তাকে চায় না।’
মাহাথির জানান, আন্তর্জাতিক পুলিশি সংস্থা ইন্টারপোল জাকির নায়েকের জন্য রেড নোটিশ জারি করতেও রাজি হয়নি।
প্রসঙ্গত, নিজের বক্তৃতার জন্য ২০১৬ সালে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েন জাকির নায়েক। ওই সময় তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও উগ্রপন্থাকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। একই অভিযোগে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ) ও পিস টিভি।
এসব অভিযোগের পর ২০১৬ সালের ১ জুলাই ভারত ছেড়ে যেতে বাধ্য হন জাকির নায়েক। ভারতে মামলা হওয়ার পর জাকির নায়েক মালয়েশিয়ায় আশ্রয় চাইলে তাঁকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয় তৎকালীন নাজিব রাজাক সরকার। এর পর থেকে জাকির নায়েক মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া শহরে বসবাস করে আসছেন।