আওয়ামী লীগের প্রসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, জঙ্গিদের কেউ আশ্রয় দিবেন না। এরা দেশের শান্তি বিনষ্ট করছে। জঙ্গিবাদকে ঘৃনা করুন। জঙ্গিরা শোলাকিয়া ঈদগাঁ মাঠে, আশকোনায় ও দেশের বিভিন্নস্থানে সুইসাইড হামলা চালিয়েছে। তারা নিজের সন্তানকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। এদের থেকে সাবধান থাকুন। কৃষিমন্ত্রী ১৮ জুন রবিবার দুপুরে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশীকুড়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মেধাবী শিার্থীদের মাঝে বস্র বিতরনকালে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমরা জানি এদের সোর্স হলো আমেরিকা। এরাই লাদেন বানিয়েছে, এরাই আবার লাদেনকে খুন করেছে। এরা সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়ে। এদের সমন্ধেও আমাদের চিন্তা-ভাবনা করার সময় আসছে। আজকে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। আমরা এই স্বাধীনতা মাগনা পাইনি। তিরিশ লক্ষ শহিদের রক্ত দিয়া পেয়েছি। আমাদের জাতির জনক ১৪ বছর কারাভ্যন্তরে কাটিয়েছেন। দুইবার হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছেন। কাজেই আল্লাহর রহমতে এই দেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন সুখী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, পঙ্গুভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা ও গর্ভকালীন ভাতা দিচ্ছেন। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন গরীব অসহায়দের পাশে থাকবেন। তাইতো তিনি এতিমদের ইফতার পার্টিতে এতিম শিশুকে নিজ হাতে খাইয়েছেন। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া এতিমদের ইফতার পার্টিতে শুধু এতিমদের সামনে দিয়ে হেটে গেছেন। এইতো দুজনের মধ্যে পার্থক্য।
এদিন কৃষিমন্ত্রী নালিতাবাড়ী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শর্িীদের মাঝে, শাড়ী ও গরবী অসহায়দের মাঝে টাউজার এবং শার্ট বিতরন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক ডঃ মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, শেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশরাফ উদ্দিন, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মুখলেছুর রহমান রিপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার সোহেল রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, অর্থ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সরকার ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।