যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিলুর রহমানের এক ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে খুলনায় তার মাকে গ্রেফতারের অভিযোগের ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, গতকাল খুলনা থেকে যাকে গ্রেফতারের বিষয়ে অভিযোগ তুলা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়।
কোনোভাবেই তাকে উদ্দেশ্যমূলক গ্রেফতার করা হয়নি। তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে তার মাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হবিগঞ্জ থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবকে দেখতে গিয়ে আইজিপি এ মন্তব্য করেন।
আইজিপি বলেন, এই বিষয়টি আমি পরিষ্কার করতে চাই। আমরা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছি, খুলনার জামায়াতে ইসলামীর একজন নায়েবে আমিরের বাড়িতে নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করতে একটি ষড়যন্ত্র চলছে। অনেকে জড়ো হয়েছে এমন তথ্যে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা পরে জানতে পেরেছি ওই নারীর ছেলে প্রবাসী, সে ফেসবুকে সাঈদীকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে। আমরা তথ্য পেয়ে অভিযান চালাই। সেখানে আমরা ডিজিটাল ডিভাইস, বই পেয়েছি, মোবাইল পেয়েছি। এর আলোকে মামলা নেওয়া হয়েছে। এটা কোনোভাবেই উদ্দেশ্যমূলক গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে তিনি জানান।
এর আগে রোববার খুলনায় অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার জন্য সমবেত হওয়ার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে গ্রেফতার নারীর স্বামী আলমগীর শিকদারের দাবি, তার স্ত্রী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তার ছোট ছেলে তানজিলুর রহমান আমেরিকায় পিএইচডি গবেষণারত ও বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী। ছেলে সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে। এজন্য আমার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আমার স্ত্রী তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে হঠাৎ করে পুলিশ আসে। তাকেসহ আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। পরে শুনলাম জামায়াতকর্মী হিসাবে মামলা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, খালিশপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার জন্য সমবেত হওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ ধর্মীয় বিভিন্ন বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, রেজিস্ট্রার ও অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার কাজে ব্যবহৃত ৩টি ল্যাপটপ, পাসপোর্ট এবং ৪টি মোবাইল ফোনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।