ছেলেধরা আতঙ্গের বলি হতে হয়েছে রেনুর মতো অনেককে। মা হারিয়েছে তুবার মতো শিশু। গণপিটুনির ঘটনায় দেশের বিভিন্নস্থানে কমপক্ষে ১২ জন মারা গেছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এমতাবস্থায় সচেতনা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে পুলিশের প্রতি এ সংশ্লিষ্ট একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গুজব প্রতিরোধে মাঠে নেমেছে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা। মাঠপর্যায়ে এ বাহিনীর ৬১ লাখ সদস্য জনগণকে সচেতন করবে।
এবার এ গুজব রুখতে ভিন্নধর্মী এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। বুধবার (২৪ জুলাই) দামপাড়া কার্যলয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার (সদর) শ্যামল কুমার নাথ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সন্দেহের বশীভূত হয়ে কাউকে গণপিটুনি দেবেন না। আইন হাতে তুলে নিলে মামলার আসামি হবেন।
তিনি বলেন, সবাই এগিয়ে না এলে সমাজের যে কোনো পর্যায়ের মানুষ এই গুজবের শিকার হতে পারেন। দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে একটি দুষ্ট চক্র স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে ভয়ংকর মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে। সিএমপি এই গুজব প্রতিহত করতে ইতিমধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ফেসবুক, কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। সচেতনতামূলক এক লাখ লিফলেট বিতরণ করা হবে নগরীতে। আগামী শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেয়ার জন্য ইমামদের বলে দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কাউকে সন্দেহ হলে আটক করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে খবর দিতে হবে। আইন হাতে তুলে নেয়া যাবে না। কেউ যদি গণপিটুনিতে অংশ নেয় তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চট্টগ্রাম নগরীতে ছেলেধরা সন্দেহে পিটুনির ঘটনায় এক নারী ও এক পুরুষ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুটি মামলায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) এমএম মেহেদী হাসান, উপকমিশনার (বন্দর) হামিদুল আলম, উপকমিশনার (সিটি এসবি) আবদুল ওয়ারিশ, উপকমিশনার (ডিবি-উত্তর) মিজানুর রহমান, উপকমিশনার (ডিবি-বন্দর) এসএম মোস্তাইন হোসেনসহ সিএমপির ১৬ থানার ওসিরা উপস্থিত ছিলেন।