রমজান মাস এখন শেষের দিকে। চলছে ধুম কেনাকাটার সময়। এরইমাঝে ২৬ রোজা পার হয়ে গেছে। বিগত সময়ের বৃষ্টিতে বেকার সময় কাটিয়েছেন শেরপুরের ব্যবসায়ীরা। তাদের আশা ছিল শেষের দিকে ঈদের কেনাকাটা জমে ওঠবে।
কিন্তু ফের বৃষ্টি তাদের সে আশায় গুড়েবালি। থেমে থেমে বৃষ্টি চলতে থাকায়; এবং আকাশ পরিষ্কার না হওয়ায় ক্রেতা খরার মধ্য দিয়েই যাচ্ছে শেরপুরের বিপানীবিতান গুলোর। সামনের দিনগুলোতেও এমন অবস্থা চলার শঙ্কায় পড়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, রোজা শেষে প্রত্যাশা-প্রাপ্তির হিসাবে হতাশাই হয়তো বাড়বে।
আজ শুক্রবার শহরের নিউমার্কেট, বুলবুল সড়ক, নয়ানিবাজার, তেরাবাজার ও গোয়ালপট্টি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বৃষ্টির কারণে অনেকটাই ক্রেতাশূন্য এসব বিপণিবিতানগুলো। আর ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বৃষ্টির কারণে দোকান খোলারই সুযোগ পাননি।
ঈদের বাজারে বৃষ্টির হানা। বৃষ্টি আর রিক্সার যানজটে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ঈদ কেনা কাটা করতে বের হওয়া শহরবাসী। গাড়িতে উঠলে যানজট, পায়ে হাটতে গেলে কাদা পানিতে জনজীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। নানা প্রয়োজনে মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে বৃষ্টি ও যানজট উপেক্ষা করেই নিজ নিজ লক্ষ্যে যেতে হয়েছে।
এদিকে শহরে ব্যাপারী চালিত অটো প্রবেশে নিষেধ করার পর থেকেই বেশি ভাড়া হাঁকছেন রিক্সাওয়ালারা। খোয়ারপাড় এলাকা থেকে শহরে ঢুকতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, জামালপুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে শহরের নিউমার্কেটে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, নবীনগর বাসষ্ট্যান্ড থেকে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন নিক্সাওয়ালা। সাথে আছে উপর্যুপরি ঈদ বোনাসের আবদার।
আজকের বৃষ্টিতে বিশেষ শহরের ফুটপাতের ক্রেতা বিক্রেতারা পড়ে মহা দুর্ভোগে। আর দুদিন পরেই ঈদ। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বড় বড় মার্কেট, বিপণিবিতান, ফ্যাশন হাউস ও শপিংমলগুলোতে তুলনামূলক কিছুটা বেশি ক্রেতার ভিড় থাকলেও ফুটপাত তেমন একটা জমেনি।