কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের চরদুর্লভ খাঁ আবদুল হাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিকক্ষে পাঠ্য বিষয়টি বোধগম্য না হওয়ায় এবং বিষয়টি পাঠ্য বইয়ে রয়েছে কিনা তা জানতে চাওয়ায় শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে বেধড়ক পিটুনি দিলে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ছাত্রী। পরে তার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে প্রথমে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে প্রভাবশালী মহলের চাপে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকাল সকালে আবারো ওই ছাত্রীকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসীর কাছে অভিযোগ করা হলে জরুরি বৈঠক ঢেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।
এলাকাবাসী ও ছাত্রীর বড় ভাই মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তার ছোট বোন ইয়াসমিন আক্তার ডলি (১৫) উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের চরদুর্লভ খাঁ আবদুল হাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গত ২৩শে মে দুপুরের পর ওই বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক মো. কবির হোসেন (২৬) বিজ্ঞান ক্লাসে এইডস বিষয়ে পাঠদান করছিলেন। এ সময় শিক্ষক কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য দিলে বিষয়টি বোধগম্য হয়নি এবং তা তাদের পাঠ্য বইয়ে লেখা আছে কিনা তা জানতে চান ইয়াসমিন। এতে শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে অন্তত ১০-১৫ টি বেত্রাঘাত করলে সে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শিব্বির আহম্মেদ জানান, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। শ্রেণিকক্ষে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ওই শিক্ষক সামান্য উত্তেজিত হয়ে দু’একটি বেত্রাঘাত করেছেন। প্রতিপক্ষের লোকজন বিষয়টিকে অতি রঞ্জিত করে প্রচার করে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্টের ষড়যন্ত্র করছেন। বিষয়টি নিয়ে বসে উভয়পক্ষের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির সুন্দর সমাধান করা হয়েছে
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে