গত তিন বছর ধরে চালক না থাকায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের অ্যাম্বুলেন্সটি গ্যারেজে তালাবদ্ধ থাকা অবস্থাতেই অকেজো হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে এ অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতাল চত্বরে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়েছে। কারণ ওই গ্যারেজে গত ৩ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৩০ লাখ টাকা মূল্যের দেয়া নতুন অ্যাম্বুলেন্সটি রাখা হয়েছে। এদিকে দীর্ঘ দিন থেকে চালক না থাকায় উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনে জেলা সদরে সংকটাপন্ন রোগী পরিবহনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. মোফাজ্বল অবসর নেন। কিন্তু প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হলেও নতুন করে কাউকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে ২০১০ সালের মার্চে সরকারের দেয়া অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহৃত না হওয়ায় অকেজো হয়ে পড়েছে। এছাড়া ১৯৯৪ সালের দিকে দেয়া অ্যাম্বুলেন্সটিও হাসপাতাল চত্ত্বরে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখায় সেটিও ধ্বংশের ধারপ্রান্তে।
অ্যাম্বুলেন্সের সেবা বঞ্চিত উপজেলা সদরের বাসিন্দা মো. কফিল উদ্দিন বলেন, আমার রোগীকে (স্ত্রী) শেরপুর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স চালক না থাকায় বাইরে থেকে বেশি টাকায় গাড়ী ভাড়া করে রোগী হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আবু হাসান শাহীন বলেন, চালক না থাকার বিষয়টি সিভিল সার্জনসহ উর্দ্ধতন কৃতপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএস আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের চালকটি অত্যন্ত জরুরি। চালকের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে চালক নিয়োগ দিবে সংশ্লিষ্ট কৃতপক্ষ।