নেত্রকোনার বারহাট্টায় বখাটের হামলায় নিহত স্কুলছাত্রীর বড় বোন নিপা রানী বর্মণকে চাকরি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত শাখায় আউট সোর্সিংয়ে তাকে চাকরি দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সকালে মুক্তির বাবা নিখিল চন্দ্র বর্মণসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের কার্যালয়ে দেখা করেন। এ সময় তারা জেলা প্রশাসকের কাছে মুক্তি হত্যার ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সব ধরনের সহযোগিতা চান। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ দীর্ঘক্ষণ তাদের কথা শোনেন। তিনি জানতে পারেন মুক্তির আরও পাঁচ বোন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে। তাই তিনি তাদের শিক্ষা অব্যাহত রাখতে সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তাৎক্ষণিকভাবে তার কার্যালয়ের নেজারত শাখায় মুক্তির বিএ পাশ বড়বোন নিপা রানী বর্মণের চাকরির (আউটসোর্সিংয়ে) ব্যবস্থা করেন।
এ সময় জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিতাংশু বিকাশ আচার্য, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র পণ্ডিত, বারহাট্টা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার সাহা সেন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২ মে বারহাট্টার প্রেমনগর ছালিপুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণকে স্কুল থেকে ফেরার পথে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে একই গ্রামের কাওসার মিয়া নামের এক বখাটে কিশোর। প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় সে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটায়। পরদিন বিকেলে কাওসারকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় জেলা পুলিশ।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, মুক্তি হত্যার ঘটনাটি আমাদের মনে কঠিন দাগ কেটে গেছে। এ সময়ে তার পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। প্রশাসনে চাকরির সঙ্গে কিছু মানবিক দায়িত্বও রয়েছে আমাদের। সে দায়িত্ব থেকেই তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তির বড়বোনের জন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা করেছি। এতে পরিবারটি অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা সহায়তা পাবে। তাছাড়া পরিবারটিও আমাদের সুনজরে থাকবে।