আর মাত্র কয়েক দিন পরেই হিন্দুধর্মের মহা উৎসব দূগা পূজা উদযাপন হতে যাচ্ছে। সারাদেশে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সে উপলক্ষে শেরপুর জেলাতে জোড় প্রস্তুতি চলছে। এদিকে, ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে দূগা পূজার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। দূর্গা পূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ শহরের সকল মন্ডবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মন্দির ঢাকেশ্বরী মন্দির দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে নতুন রুপে দেখা যাবে। মন্দিরটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। ঢাকেশ্বরী পুরাতন মন্দির থেকে প্রতিমাকে নতুন মন্দিরে স্থানাস্তর করা হয়েছে। গত বছর সারা দেশের ২৯ হাজার ৩শত ৭৫টি মন্ডলে দূর্গা পূজার উদযাপন করা হয়। এই বছর এখন পর্যন্ত কতটি মন্ডলে পূজা উদযাপন করা হবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত বছর মহানগরে ২২৫টি মন্ডলে দূগা পূজার উদযাপন করা হয়েছিল। এবছর তার চেয়ে ৪ থেকে ৫টি মন্ডল বাড়বে বলে জানা যায়। তবে এখনও পর্যন্ত কতটি মন্ডলে পূজা উদযাপন করা হবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরটি নতুন করে রং এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। তাছাড়া মেলাঙ্গনকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মা দুর্গা, কার্তিক, গণেশ, লক্ষী ও সরসর্তী প্রতীমা তৈরীর কাজ শেষ। এখন তা শুকানো হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে রং দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে বলে জানান যায়। ঢাকেশ্বরী নতুন মন্দিরটি আগামী ২১ সেপ্টেম্বও উদ্ভোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী থাকার কথা থাকলেও বিদেশে সফর উপলক্ষে তিনি থাকতে পারবেন বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির কেন্দ্রীয় শাখার দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব কুমার দে বলেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর একটি বর্ধিতসভার হবে। এই সভায় সারাদেশ থেকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতিরা উপস্থিত হবে। সেই বর্ধিত সভার মাধ্যেমে জানা যাবে কোন জেলায় কয়টি মন্ডলে দূর্গা পুজা উদযাপন করবেন।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ্যামল রায় জানান, আজকে বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দদেও নিয়ে মিটিং করা হচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যাপারে সরকারও আমাদেরকে আশস্ত্র করেছে। আগামী তের তারিখ পুলিশের সাথে আমাদের মিটিং আছে। সরকারেরও আন্তরিকতা আছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির কেন্দ্রীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস পাল বলন, গত বছরের মতোই আবার পূজা উদযাপন করা হবে। গত বছরের তুলনায় এবার আর বেশি মন্ডলে পূজা উদযাপন করা হবে। বন্যাঞ্চল এলাকায় পূজা নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তুতি চলছে। চট্রগ্রামের কিছু এলাকায় পূজা উদযাপন নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যেসব এলাকায় রোহিঙ্গা আছেন। সরকারের কাছে একটা আকুল আবেদন থাকবে গতবছর আমাদেরকে চাল এবং ডাল দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। এবারও যেন এটা বজায় রাখন। তিনি আরো বলেন, পূজা মন্ডলের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সাথে বৈঠক করা হয়েছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। তারপরও যদি কেউ অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শেরপুর টাইমস/ বা.স