মহিউদ্দিন সোহেল ও নাঈম ইসলাম :
আসছে ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শেরপুর সদরের চরশেরপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।
সোমবার দুপুরে চরশেরপুর ইউনিয়নের মটর সাইকেল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম রেজার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তার নির্বাচনী কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী সেলিম রেজা লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার কর্মী সমর্থকরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু আওয়ামীলীগের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মিল্টন আমার নির্বাচনী এলাকার যোগিনীমুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাগপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বামনের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হেরুয়া বালুরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সীল দিয়ে ভোট গ্রহণ করবে বলে বিভিন্ন স্থানে বলে বেড়াচ্ছেন।এতে করে সুষ্ঠু নির্বাচনের সংশয় দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসব অভিযোগের ব্যপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অভিযোগ দায়ের করেছি। কেননা এই ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে ইতিপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মারামারি ও গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তাই এই কেন্দ্র গুলোতে গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে আপনাদের সজাগ দৃষ্টি কামনা করছি।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম রেজার সংবাদ সম্মেলনের পরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম মিল্টন বলেন, চরশেরপুর ইউনিয়নে নৌকার গণজোয়ার উঠেছে। আর এ গণজোয়ার দেখে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম রেজা মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। আমি কোন হুমকি-ধমকি দেয়নি। বাগের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সাতানী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দশকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র। এ কেন্দ্রগুলোতে সেলিম রেজার লোকজন দখলে নিতে পারে বলে অপ্রচার চালাচ্ছে। আমি আমার দলের নেতাদেরকে এ বিষয়ে অবগত করেছি এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন শিক্ষক মানুষ। আমার কোন টাকা পয়সা নেই । আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম রেজার মতো কালো টাকা খরচ করতে পারছিনা তাই জনগণের ভালবাসা নিয়েই নির্বাচনে লড়ে যাচ্ছি এবং বিপুল ভোটে জয় লাভ করবো ইনশাল্লাহ।
তবে এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, ইতিমধ্যে বেশকিছু ইউনিয়নে কেন্দ্রে বিশৃংখলা হতে পারে বলে প্রার্থীরা আশংকা করেছেন এবং আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন । আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে খোজঁ খবর নিচ্ছি । আইনানুগ নির্বাচনের স্বার্থে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে চরশেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে রফিকুল ইসলাম মিল্টন, লাঙ্গল প্রতীকে আর রাফী, মোটরসাইকেল প্রতীকে সেলিম রেজা, ঘোড়া প্রতীকে ফকির মাহমুদ, চশমা প্রতীকে নজরুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আনারস প্রতীকের বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সুরুজ নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে তার নির্বাচন থেকে ইতিমধ্যে সরে দাঁড়িয়েছেন।