গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড়ে প্রতিযোগী একটি মেয়ে, তাও আবার ১৫ বছর বয়স। এক দল পুরুষকে পেছনে ফেলে যে এগিয়ে আছে, সামনে। বলছি, নওগাঁর তাসমিনার গল্প। শুরুতে শখের খেলা থাকলেও, এখন পরিচিত সুদক্ষ ঘোড়া সওয়ার হিসেবে। তাসমিনার ইচ্ছে, একদিন পুলিশ বাহিনীর হয়ে ঘোড়ায় চড়বে সে।
ঘোড়দৌড়, হাওয়ায় দুলছে সওয়ারীর চাবুক। পা দুটো আকড়ে আছে ঘোড়ার দুই পাজর। চেষ্টা, নিজের ঘোড়াকে সামনে রাখার।
এই দৃশ্য প্রতিটি ঘোড়দৌড়ের। আর সওয়ারীর জায়গায় যদি থাকে কোনো শিশু, তাহলে দর্শকের উত্তেজনার মাত্রাটা হয় আরেকটু বেশি।
শেরপুরের নকলা উপজেলার বঙ্গবন্ধু আদর্শ ক্লাব আয়োজিত ঘোড় দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নওগাঁর তাসমিনা আক্তার। আজ বিকেলে নকলা উপজেলার কবুতরমারী এলাকায় অনুষ্ঠিত ঘোড় দৌড়ে দুটি গ্রুপে দেশের বিভিন্ন জেলার ৫০জন ঘোড় সাওয়ার অংশগ্রহণ করেন।
ঘোড় দৌড়ের ‘দাপট’ গ্রুপে ২০জন প্রতিযোগীকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় নওগাঁর তাসমিনা। পনেরো বছর বয়সী তাসমিনা ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘোড় দৌড়ে অংশ নিয়ে “হর্স গার্ল” খ্যাতি অর্জন করেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ভার্চুয়ালে সে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
নিজের ঘোড়া না থাকলেও ঘোড় দৌড়ের খবর পেয়ে শেরপুরে এসে অন্যের ঘোড়ায় সাওয়ার হয়ে প্রথম পুরষ্কার ফ্রিজ জয় করেছে তাসমিনা। এর আগে তাকে নিয়ে ফরিদুর রহমানের নির্মিত ‘অশ্বারোহী তাসমিনা’ (তাসমিনা : দ্য হর্স গার্ল) চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চারটি শিরোপা অর্জন করে।
জয়ের পর তাসমিনা আক্তার বলেন, এখানে ঘোড়া দৌড়ের ব্যপারে আমি মনির চাচার (আয়োজক) কাছে জানতে পারি। আমার নিজের ঘোড়া নেই এখানে। অন্যজনের ঘোড়া দিয়ে আমি এখানে প্রথম হয়েছি।