বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করছে। বিশেষ করে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার শহরের দিকে প্রবল বেগে বাতাস ও ঝোড়ো বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার (অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৬৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ঘুরে যাওয়ায় অনেক জেলার মানুষকে আর আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কক্সবাজারের ৯৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৯৬৮ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আর চট্টগ্রামে ১২ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছেন। এ ছাড়া ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার আশ্রয়কেন্দ্রেও মানুষ উঠেছেন। সব মিলিয়ে ৬৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। আরও কিছু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠবেন বলে আমরা ধারণা করছি।
এদিকে, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার শহরের দিকে প্রবল বেগে বাতাস ও ঝোড়ো বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করা শুরু করেছে। রাত সাড়ে ৯টার দিকেও প্রবল বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে টিন উড়ে যাচ্ছে, গাছপালা ভেঙে ডালপালা উড়ে যাচ্ছে। বাসাবাড়ির দরজা-জানালা খোলা যাচ্ছে না ঝড়ের ঝাপটায়। মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানা গেছে এবং মহেশখালী প্রধান সড়কে গাছপালা ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হায়দার জানান, আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি সভা করেছি। অনিরাপদ স্থানে যারা রয়েছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।
মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ব প্রস্তুতিমূলক সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। মহেশখালী-কুতুবদিয়াবাসীকে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব শুরু হওয়ার আগেই নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে এবং প্রশাসনসহ সবাইকে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।