শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের বন বিভাগের দখল হয়ে যাওয়া প্রায় আড়াই হাজার একর জমিতে অবৈধ ভাবে নির্মান করা ঘর-বাড়ি উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বন বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী এক অভিযান পরিচালনা করেন জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তারা। এসময় রাংটিয়া বিট এর উত্তর গান্ধিগাঁও গ্রামের ছামিউল ইসলাম এবং আলেকজান খাতুন নামে দুই অবৈধ দখলদারের নির্মানাধিন ঘর উচ্ছেদ করা হয়।
এদিকে দখলদার সামিউলের স্ত্রী লিজা খাতুন বলেন, আমাদের ঘর শুধু চোখে পড়লো, অনেকেই তো পাকা ঘর-বাড়ি নির্মান করে আছে তাদের টা দেহে না স্যারেরা। তাদের টা ভাঙ্গে না কেন ?
রাংটিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া জানায়, আমরা নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান পক্রিয়ার মধ্যে সোমবার ওই দুই ব্যাক্তির অবৈধ নির্মানাধিন ঘর উচ্ছেদ করি। কিন্তু উচ্ছেদ করার সময় দখলদাররা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করতে আসলে আমরা ঝিনাইগাতি থানা পুলিশের সহায়তায় উচ্ছেদ কাজ শেষ করি। এ ঘটনায় একটি মামলাও করা হবে বলে তিনি জানায়। এছাড়া পর্যায়ক্রমে বনের জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত সকল ঘর-বাড়ি উচ্ছেদ করে বনের জমি উদ্ধার করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শেরপুরের গারো পাহাড়ে বন্য হাতি হত্যা শুরু হলে স্থানীয় নাগরিক সমাজ সোচ্চার হয়ে উঠে। শুরু হয় সীমান্তে হাতি হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি’র মাধ্যমে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি তুলে ধরা। এদিকে স্থানীয় বন বিভাগ সূত্রে জানায় জেলার প্রায় ২০ হাজার একর বন ভুমির মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৫ শত একর জমি বেদখল হয়ে আছে। বনের ভিতর বিভিন্ন স্থানের মানুষ এসে ঘর-বাড়ি নির্মান করায় হাতির চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়া হাতির আবাস্থলেই স্থাপনা করছে এক শ্রেণির ভূমি দস্যু ও অবৈধ দখলদাররা। এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন এবং সোসাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় নড়েচড়ে বসে বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসন। শুরু হয় ওইসব অবৈধ উচ্ছেদ পক্রিয়া।