শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকার পুর্ব সমশ্চুড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের উত্তরে লাল টেংগুর নামক পাহাড়ি গোপ থেকে একটি মৃত মর্দা (পুরুষ) বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবাদি জমির মালিক জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৫) নামের এক দরিদ্র কৃষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চলতি বোরো আবাদে বন্যহাতির অত্যাচার থেকে ফসল রক্ষা করতে ধৃত কৃষক তার ক্ষেতে বৈদ্যুতিক জিআই তারের সংযোগ দিয়ে ধানক্ষেত ঘিরে রাখেন। ওই তারে জড়িয়ে বন্য হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে বন বিভাগ জানিয়েছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে ওই মৃত বন্যহাতির মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এরআগে বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে খাবারের সন্ধানে ওই এলাকার জিয়াউর রহমান জিয়া নামের এক দরিদ্র কৃষকের উঠতি বোরো ফসলের ক্ষেতে প্রায় ৩০/৪০ টি বন্যহাতির দল হানা দেয়।
স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকার পুর্ব সমশ্চুড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের উত্তরে লাল টেংগুর নামক পাহাড়ি গোপে ওই এলাকার মৃত ময়জদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া ৫০ শতাংশ জমিতে বোরো ধান রোপন করেন। বন্যহাতি যাতে হানা দিয়ে ফসল বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য কৃষক জিয়া রাতের বেলায় তার ওই আবাদী ক্ষেতের চারদিকে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ঘিরে রাখেন। বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে ৩০/৪০ টির মতো একদল বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে উঠতি বোরো ক্ষেতে হানা দিয়ে ৫০ শতাংশ জমির সবটুকু খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলে। এসময় মধ্য বয়সী একটি র্মদা (পুরুষ) হাতি বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা যায়। পরে শুক্রবার সকালে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে মৃত হাতির ময়নাতদন্ত শেষে মাটিতে পুতে ফেলার ব্যবস্থা করেন। একইসাথে শেরপুরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ বিভাগের উদ্যোগে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার ও মধুটিলা ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, বন্যহাতির মৃত্যুর ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, বন্যহাতির মৃত্যুর ঘটনায় জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৫) নামের এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেইসাথে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।