গ্রীষ্মের তাপ ইতিমধ্যেই তার শক্তি জানান দিচ্ছে। বাইরে বেরোলে আমরা গরমে যেভাবে হাঁপিয়ে উঠছি, ঘাম ঝরছে তাতে শরীর ঠান্ডা রাখতে, শরীরের পানিশুন্যতা দূর করতে রাস্তার পাশের শরবত বিক্রেতার শরণাপন্ন হচ্ছি বা বার বার ফ্রিজের কাছে যাচ্ছি।
গবেষকদের মতে, সর্বশ্রেষ্ঠ শরবত বা পানীয় হলো বেলের শরবত। সারাদিন বাইরের কাজ শেষে শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে বেলের শরবত খুবই উপকারে আসে। ঠিক তেমনি গ্রীষ্মকালিন ফলেও রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা।
এছাড়াও পুষ্টিগুণে বিশেষ অনবদ্য এই বেল। এক গ্লাস বেলের শরবত খাওয়ার ফলে পেটও ঠিক মানে হজমশক্তি বাড়ায় আবার সারাদিনের ক্লান্তিভাব মুছে শরীরকে চাঙা করে তুলে। শীতকাল শেষে চৈত্রের খড়া না আসতেই তাপের তীব্রতা যেন বেড়েই চলেছে। শীত থেকে গরম, প্রকৃতির এই পরিবর্তনের ফলে দেখা দেয় শারীরিক নানা সমস্যা।
এই খড়া ও তীব্র তাপযুক্ত সময়ে শরীরের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হওয়া খুবই দরকার। আর ঠিক এমন সময় শরীর সুস্থ ও ঠান্ডা রাখতে অন্যতম ভরসা হতে পারে বেল। প্রাচীনকাল থেকে স্বাস্থ্যরক্ষায় বেলের ব্যবহার বহুমাত্রিক। একুশ শতকেও শরীরের যত্ন নিতে বেল সমানভাবে উপযোগী।
জেনে নিন বেল কীভাবে উপকারে আসে
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে যাদের, তাদের জন্য বেল উপকারী হতে পারে। বেল পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়ম করে বেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চিরতরে দূর হতে পারে। পাকা বেলের শাঁসে এক ধরনের ফাইবার আছে, যা আলসারের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত বেল খাওয়ার অভ্যাস আলসারের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
ডায়াবেটিস আক্রান্তদের খাওয়া-দাওয়ায় অনেক বিধিনিষেধ থাকে। মিষ্টি জাতীয় খাবার হোক বা ফল অনেক কিছুই খাওয়া মানা। তবে বেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বেলে মেথানল নামের একটি উপাদান থাকে। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে।
আর্থ্রাইটিসের ব্যথা-বেদনায় অনেকেই কষ্ট পান। ব্যথা বাড়লে হাঁটাচলা করাই দুষ্কর হয়ে ওঠে। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে সক্ষম বেল। বেল খেতে পছন্দ করলেও রোজের খাদ্যতালিকায় বেল সব সময় থাকে না। রোজ না হলেও অন্তত সপ্তাহে ৩-৪ দিন বেল খেতে পারেন। মিলবে সুফল।
সূত্রঃ আনন্দবাজার অনলাইন