ক্যানসারে আক্রান্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। সাদেক হোসেন খোকার এই অসুস্থতার খবরে আবেগতাড়িত হয়েছেন তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহচর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আজ বুধবার মির্জা আব্বাস তার ফেসবুক ওয়ালে সাদেক হোসেন খোকার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনের পাঠকদের জন্য মির্জা আব্বাসের আবেগঘন স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো…
‘প্রিয় খোকা, এই মাত্র আমি জানতে পারলাম যে তোমার শরীর খুব খারাপ, তুমি হাসপাতালে শয্যাশায়ী। জানার পর থেকে আমার মানসিক অবস্থা যে কতটা খারাপ এই কথাটুকু কারো সঙ্গে শেয়ার করবো সেই মানুষটা পর্যন্ত আমার নেই। তুমি আমি একসঙ্গে রাজনীতি করেছি, অনেক স্মৃতি আমার চোখের সামনে এই মুহূর্তে ভাসছে। তোমার আর আমার দীর্ঘ এই পথচলায় কেউ কেউ তাদের ব্যক্তি স্বার্থে তোমার আর আমার মাঝে একটা দূরত্ব তৈরি করে রেখেছিল, তবে তুমি আর আমি কেউই সেই দূরত্ব রয়েছে বলে কখনোই মনে করিনি।
আমি জানি না, তোমার সাথে আমার আর দেখা হবে কিনা। আমার এই লিখাটি তোমার চোখে পড়েবে কিনা বা তুমি দেখবে কিনা তাও আমি জানি না। তবে বিশ্বাস করো, তোমার শারীরিক অসুস্থতার কথা জানবার পর থেকেই বুকেরটা ভেতরটা কেন যেন ভেঙে আসছে। আমি বার বার অশ্রুসিক্ত হচ্ছি। মহান আল্লাহ্ তায়ালার কাছে দুহাত তুলে তোমার জন্য এই বিশ্বাস নিয়ে দোয়া করছি, তিনি অবশ্যই তোমাকে সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনবেন।
তুমি আর আমি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, বুকে বুক মিলিয়ে রাজনীতির মাঠে কাজ করে যাব। নাহয় সেই আগের মতোই স্বার্থপর কোনো মানুষদের জন্য আব্বাস আর খোকা বাইরে বাইরে দূরত্বের সেই অভিনয়টা করে যাবে, আর ভেতরে থাকবে দুজনের প্রতি দুজনের অন্তর নিংড়ানো ভালোবাসা।
আল্লাহ্ তোমার সুস্থতা দান করুক।
তুমি ফিরে এসো খোকা, তুমি ফিরে এসো।
আমি অপেক্ষায় থাকবো।
….মির্জা আব্বাস।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন আমাদের সময়কে জানান, তার বাবা নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে স্লোশেন ক্যাটারিং ক্যানসার ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনির ক্যানসারে ভুগছেন। তার অবস্থার অবনতি হয়েছে। বাবা সাদেক হোসেন খোকার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
২০১৪ সালের ১৪ মে সাদেক হোসেন খোকা চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়েন। তবে বিদেশে থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলায় তার সাজা হয়।