মানিক দত্ত : ‘ক্রীড়ায় বিশ্ব স¤প্রীতি, বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শ্লোগান নিয়ে ৬ এপ্রিল পালিত হলো আর্ন্তজাতিক ক্রীড়া দিবস। বৎসরের ৩৬৫ দিনে কম করে হলেও ৭০টি দিবস পালিত হয়। সারা দেশের ন্যায় শেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে পালিত হলো দিবসটি।
আলোচনা পর্বে আলোচকবৃন্দ খেলাধুলার কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করি। সেখানে প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ক্রীড়া সংগঠক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। যখন যে দিবস আসে তখন সে দিবস নিয়েই আমরা ২/১ দিন আলোচনা বা কার্যক্রম করি। কয়েকদিন পরেই যেই সেই। সবই ভূলে যাই। যেমন ফেব্রুয়ারি মাস এলে “সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু কর” কিন্তু এখন পর্যন্ত হয়নি। আমরা কথা বলার সময় কিছু ইংরেজী বলে বুঝাতে চাই আমি শিক্ষিত লোক। বিদেশে গেলে ইংরেজী দরকার আছে, ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আছে কিন্তু আমরা নিজেরা যখন কথা বলি বা বক্তব্য দেই তখন ইংরেজী বলার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তা নিয়ে প্রশ্ন আসে।
আদালত থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিসে এখনো চলছে ইংরেজী। শুধু ভাষার মাস এলেই “সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু কর” নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তেমনি যে দিবস আসে সেটা নিয়েই কয়েক দিন চলে, তার পরে আগের মতই। একথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো ক্রীড়া দিবস পালন করেই যেন আমরা খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ভূলে না যাই। একটি শিশু জন্ম নেয়ার পর হতেই কিন্তু খেলতে থাকে সেটা যেভাবেই হোক। তাই খেলা বা ক্রীড়ার সৃষ্টি কিভাবে কবে থেকে শুরু সেটা বলা মুশকিল, তবে বিষয়ভিত্তিক খেলার উৎস স্থান সময় জানা যায়। ক্রীড়া হচ্ছে একটি সংগঠিত প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ন, বিনোদনধর্মী এবং দক্ষতা সূচক শারীরিক কার্যকলাপ প্রদর্শনের উত্তমক্ষেত্র। শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তা, কলা-কৌশল এবং সুস্থ ক্রীড়া প্রদর্শন করে একজন বিজয়ী তার অপূর্ব ক্রীড়া শৈলীর নিদর্শন রাখতে পারেন।
এটি পরিচালিত হয় একগুচ্ছ নিয়ম-কানুন বা নিজস্ব চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে। খেলার প্রধান চালিকা শক্তি হচ্ছে শারীরিক সক্ষমতা, দক্ষতা ও মর্যদা যাতে বিজয়ী এবং বিজিত পক্ষ নির্ধারিত হয়। খেলাধূলা চর্চ্চার ফলে অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে সুন্দর প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ন খেলোয়াড় সুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায়, সর্বপ্রথম চীনের নাগরিকেরা খ্রীষ্টপূর্ব ৪০০০ বছর আগে থেকে খেলাধুলার সাথে জড়িত। জিমন্যাস্টিকস প্রাচীন চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হিসেবে স্থান পেয়েছিল। কয়েক হাজার বছরপূর্বে প্রাচীন মিশরের ফারাও সাম্রাজ্যে বেশ কিছু খেলা প্রচলিত ছিল।
তন্মধ্যে সাঁতার কাটা, মাছ ধরা অন্যতম। এছাড়াও মিশরীয় খেলাধুলার মধ্যে জ্যাভেলিন বা বর্শা নিক্ষেপ, উচ্চলম্ফ এবং কুস্তির ব্যাপক প্রচলন ছিল। প্রাচীন ফারাসী খেলার মধ্যে ইরানীয় মার্শাল আর্ট হিসেবে জোরখানে যুদ্ধংদেহী মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়। বিশ্বের অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও ফুটবল এখনো জনপ্রিয় খেলা তবে ক্রিকেট আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। ক্রীড়া বিশ্বে বাংলাদেশকে ক্রিকেট দিয়েই পরিচিতি। এছাড়াও হকি, হ্যান্ডবল, ভলিবল, সাঁতার, দৌড়, ব্যাডমিন্টন, কাবাডি, দাবা, টেনিস, খো খো, রোরিং, কুস্তি, মুষ্টিযুদ্ধ, জুডু, বাস্কেটবল সহ বিভিন্ন খেলার ব্যবস্থা বা ফেডারেশন আছে। আছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া অধিদপ্তর, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ফুটবল এসোসিয়েশন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া অফিস।
বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণও বেশ আগ্রহী খেলাধুলার ক্ষেত্রে। তারপরও আমরা আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট এবং মহিলা ফুটবল ছাড়া এগোতে পারছি না। ছেলে মেয়েদেরকে খেলাধুলায় আগ্রহী করতে পারছি না। আমি একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে বলতে চাই ব্যর্থতা আমাদেরও আছে। আমরা বিভিন্ন সংস্থার সাথে জড়িত আছি। একটি প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মকর্তা সহ সদস্যবৃন্দ আছেন। তাদের অনেকেই তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না বলে আমার মনে হয়। ছেলে মেয়েরা সাধারণত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আসে কিন্তু বর্তমানে উচ্চবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে তেমন খেলোয়াড় আসছে না।
যে ক’জন আসছে তারা শুধু ক্রিকেট খেলতে চায় বা খেলে। ফুটবলে তো নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যই বেশী। তারা আবার দুই এক বছর খেলেই পেটের তাগিদে চলে যায় অর্থ উপার্জনে। বর্তমানে খেলোয়াড় হওয়ার আগ্রহের চেয়ে কর্মকর্তা হওয়ার আগ্রহই বেশী। যদিও একজন কর্মকর্তা হতে হলে খেলোয়াড় হতে হবে তা কিন্তু নয়, একজন ভালো খেলোয়াড় ভালো কর্মকর্তা হবেন সেটাও সঠিক নয়। সাধারণত একজন ভালো খেলোয়াড় ভালো কোচ হতে পারেন। তবে একজন কর্মকর্তাকে অবশ্যই ক্রীড়া সংকঠক হতে হবে, ক্রীড়াপ্রেমী হতে হবে, কর্মদক্ষতা থাকতে হবে। কিন্তু এখন কি তা হচ্ছে ? তাহলে ক্রীড়াঙ্গন কিভাবে এগোবে।
যা বলছিলাম সাধারণ খেলোয়াড় আসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার ব্যবস্থা নেই। এমপিও ভুক্ত বা সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশরই খেলার মাঠ থাকলেও প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ দূরের কথা, খেলাধুলার ব্যবস্থাই নেই। সরকারী বেসরকারী এবং প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারীভাবে নির্দেশ প্রদান করা প্রয়োজন এবং কার্যক্রম তদারকি করা প্রয়োজন।
ইনডোর গেমসগুলো খেলার ব্যবস্থা করা তেমন ব্যয়বহুল বা কঠিন নয়। একটি বড় কক্ষে টেবিল টেনিস, দাবা, ক্যারামসহ বিভিন্ন খেলার ব্যবস্থা করা যায়। সরকারীভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় আমরা তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় পাচ্ছি। আজকে জাতীয় মহিলা ফুটবল দল এই টুর্নামেন্ট থেকেই সৃষ্টি।
এবছর সরকারীভাবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। আগামি বছর থেকে বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট দুইটিই অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি সেখান থেকেও বেশ প্রতিভাবান খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে। শেরপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র শেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন মহোদয় জেলা ক্রীড়া সংস্থার টেবিল টেনিস উপ-কমিটির সভাপতি হওয়ার পরপরই উদ্যোগ নেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেন টেবিল টেনিস খেলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তিনি প্রাইভেট স্কুলগুলোকে অনুরোধ করে পত্র প্রেরণ করেন এবং সরাসরি যোগাযোগ করেন কিন্তু কোন লাভ হয়েছে বলে মনে হয় না। তিনি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তাদের নিজ অর্থে, জিকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২টি, মডেল গালর্স কলেজকে ১টি টেবিল টেনিস প্রদান করেন। তারাও ঠিকমত খেলছে কিনা জানা নেই। সকল সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন অথবা দুইজন করে শরীরচর্চ্চা শিক্ষক আছেন। তারা ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার কোন ব্যবস্থাই করেন বলে মনে হয় না। তাদেরকে দিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান ক্লাশ নিয়ে থাকেন। প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শরীরচর্চ্চা শিক্ষক নেই।
কি খেলাধুলার ব্যবস্থা করবেন। খেলাধুলা মানুষের জীবনে কত প্রয়োজন তা অনেকেই অনুভব করে থাকি না। খেলাধুলায় শরীরের ব্যয়াম হয়। স্বাস্থ্য ভালো থাকে, এত সহজে রোগ আক্রান্ত করতে পারে না। সকালে বা সন্ধ্যায় যে সকল ব্যক্তিবর্গ ঘন্টার পর ঘন্টা হাটেন দেখবেন তাদের মধ্যে সাবেক বা বর্তমান কোন খেলোয়াড় নেই। খেলোয়াড়দেরকে ডায়াবেটিকস ধরতে পারছে না। খেলাধুলা করলে শুধু শরীর ভালো রাখে তা কিন্তু নয়। পরিচিতি বাড়িয়ে দেয়।
বর্তমানে অর্থ উপার্জনের পথ হয়েছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলোয়াড়দের ভর্তির ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশেই নেই। যদি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভালো খেলোয়াড়দের ভর্তির আলাদা সুযোগ থাকতো তবে অনেক শিক্ষার্থীই খেলাধুলায় আগ্রহী হতো। এমনকি সরকারি চাকুরীতে খেলোয়াড়দের চাকুরীর ব্যবস্থা থাকতো তবে অভিভাবক সহ ছেলে মেয়েরা খেলাধুলায় বেশি আগ্রহী হতো।
দেখুন একজন খেলোয়াড় যতক্ষণ পর্যন্ত খেলতে থাকে এবং একজন দর্শক যতক্ষণ পর্যন্ত খেলা উপভোগ করতে থাকেন সে সময়টুকু অন্য চিন্তা করার সুযোগ থাকে না। খেলোযাড়রা কখনো মাদক গ্রহণ করে না। মাদক গ্রহণ করলে সে খেলতে পারবে না। তাই আপনার সন্তানকে লেখা পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় উৎসাহিত করুন। বিত্তবানদের বলবো আপনারা খেলাধুলার আয়োজন করুন অথবা ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে আয়োজনে আর্থিকভাবে সহায়তা করুন। ভালো সমাজ গড়তে, নেশামুক্ত সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়তে আপনারও ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
সুষ্ঠু সুন্দর সমাজ হলে আপনিও সুন্দরভাবে ব্যবসা চাকরী বসবাস করতে পারবেন। প্রশাসনের কর্মকর্তা ব্যক্তিগণকে অনুরোধ করবো আপনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আন্তঃউপজেলা, জেলা, বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। কিন্তু সেখানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই নামে মাত্র অংশগ্রহণ করে থাকে। আয়োজন থাকলেও খেলেধুলায় তেমন অংশগ্রহণ করে থাকে না। করতে হয় করি এমন একটা ভাব। দেখা যায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকেন কিন্তু সারা বৎসর খেলাধুলার ব্যবস্থা না থাকলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দিয়ে এগোবে না।
গ্রামগঞ্জের খেলাগুলো বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে। আগে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় বিকেল হলেই শুরু হতো ছেলে মেয়ে মিলে বৌচি, দাঁড়িয়ে বাধা, কানামাছি, দড়ি লম্ফ, সাত চারা ইত্যাদি খেলা। এখন আর তা দেখা যায় না। লুডু খেলা মহিলাদের বাসাবাড়িতে ছিল প্রধান খেলা। সেটাও নেই। এখন মোবাইল ফোন সেটে লুডু খেলা হচ্ছে বাজি ধরে, অর্থের বিনিময়ে অর্থাৎ খেলাটা জুয়ায় পরিণত হয়েছে। যেকোন আর্ন্তজাতিক, জাতীয় পর্যায়ের খেলায় বাজি নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। নিঃস্ব হচ্ছে অনেকেই। খেলাধুলার পরিবর্তে ছেলে মেয়েদের হাতে হাতে এনড্রোয়েট মোবাইল ফোন সেট। চলছে ফেসবুক, চেটিং, ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা। তাদের মাঠে গিয়ে খেলার সময় বা মনমানসিকতা নেই।
সেটা যে শুধু তাদের দোষ তা কিন্তু নয়। আমরা অভিভাবকগনই কিনে দিচ্ছি। যেন প্রতিযোগিতা, কার সন্তানের হাতে কত দামী মোবাইল ফোন সেট। অপরদিকে প্রকট আকার ধারণ করেছে মটর বাইক। প্রয়োজন ছাড়াই আমরা সন্তানের হাতে তুলে দিচ্ছি দামি দামি মটর সাইকেল। তারা যেভাবে চালায় কারোর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সে লোকের কলিজায় পানি থাকে না। এতদ্রুত গতিতে যাওয়া তার প্রয়োজন আছে কিনা আমরা অভিভাবকগণ অনুধাবন করছি না। করছি যখন সন্তানটি দূর্ঘটনা ঘটিয়ে পঙ্গু হচ্ছে বা মৃত্যু বরণ করছে তখন। তখন কিছু করার আর সুযোগ বা সময় থাকে না। তাই সকলের কাছে অনুরোধ আপনার সন্তানকে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় উৎসাহিত করুন। ভালো খেলোয়াড় না হোক অবসর সময়টুকু নষ্ট না করে শরীর মনকে ঠিক রাখার জন্য খেলুক।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিকট প্রার্থনা আপনারা প্রতিদিন হোক বা সপ্তাহে একদিন হোক একটি করে ক্লাশ রাখুন খেলাধুলার। কমনরুম করে সেখানে দাবা, টেবিল টেনিস, ক্যারাম খেলার ব্যবস্থা করুন। বিকেলে মাঠে ক্রিকেট অথবা ফুটবল খেলার ব্যবস্থা করুন। শেরপুর জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে সকল প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ফুটবল খেলার ব্যবস্থা করবেন আমি আমার প্রতিষ্ঠান হতে ফুটবল এবং কোচ দিয়ে সহযোগিতা করব।
৬ এপ্রিল ২০১৯ ক্রীড়া দিবসের আলোচনা ক্রীড়া দিবসের আলোচনা সভায় এতকিছু বলার সুযোগ না থাকতে লিখনির মাধ্যমে প্রকাশ করলাম। সফল হোক, স্বার্থক হোক আর্ন্তজাতিক ক্রীড়া দিবস। কর্মঠ, যোগ্য, ক্রীড়ামোদী এবং ক্রীড়ার ক্ষেত্রে সময় দিতে পারবে এমন ব্যক্তিবর্গ ক্রীড়াঙ্গণে আসুক প্রত্যাশা করে শেষ করছি। “ক্ষমতার জন্য পদ নয়, কাজের জন্য পদ” “সম্পর্কে তদবিরে পদ নয়, যোগ্য লোকের পদ” এই কথাগুলো মনে রাখলেই আমরা সকল বিষয়ে সফলতার সাথে এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।