‘মোবাইলে গেইমস ছেড়ে মাঠে আসো’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি একটি পোস্ট দিয়েছিলেন শেরপুর জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাংবাদিক মানিক দত্ত। মুহুর্তেই সেই পোস্ট ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর তাতেই পায় কাঙ্খিত ফলাফল। পোস্ট দেখে কেউ একটি কেউবা পাঁচটি করে ফুটবল উপহার দিয়েছেন। এভাবেই জমে যায় প্রায় ৬শতাধিক ফুটবল। সেই জমানো ফুটবল শনিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে আয়োজিত আন্ত:উপজেলা ফুটবলের ফাইনাল খেলার হাফ টাইমে বিতরণ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসন মো. মোমিনুর রশীদ। তিনি বলেন, বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় যুব সমাজ ও তরুণরা খেলাধুলা প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সত্যিই প্রশংসনীয়। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ১শ ফুটবল উপহার দেওয়া হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি উনার এই উদ্যোগের ফলে গ্রাম-গঞ্জে ফুটবল ছড়িয়ে পড়বে। যারা ফুটবলের জন্য খেলতে পারছে না তারা বেশ উপকৃত হবে। এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখারও তাগিদ দেন জেলা প্রশাসক।
জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হান্নান মিয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজিমুল হক নাজিমসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, সবার হাতে হাতে এখন স্মার্ট ফোন। সবাই এখন ব্যস্ত ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন গেইমসে। তাই খেলাধুলাকে চাঙ্গা করতে মানিক দত্ত যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সত্যিই প্রশংসনীয়। এই উদ্যোগের ফলে যারা ফুটবলের জন্য খেলতে পারছে না তারা সুযোগ পাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ ছেলেগুলোই একদিন বাংলাদেশের ফুটবলের আলো জ্বালাবে।
এসময় মানিক দত্ত বলেন, অনেকেই আছেন ফুটবলের জন্য খেলাধুলা করতে পারছে না। আবার অনেকেই আছেন একাডেমি আছে কিন্তু ফুটবলের জন্য প্রশিক্ষণ করতে পারছেন না। পাশাপাশি অনেক তরুণ ভালো মানের খেলোয়াড় আছে তারা মোবাইলে আসক্ত হয়েছেন। মূলত এই আসক্ত ও ফুটবলের জন্য যারা খেলতে পারছেন না তাদের আগ্রহ বাড়াতে এবং মাঠে আনতে আমি ব্যক্তিগতভাবে এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। এই উদ্যোগের ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠক, প্রতিষ্ঠান ও সচেতন মানুষরা আমাকে এসব ফুটবল দিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার এই উদ্যোগ চলমান থাকবে।