বিজ্ঞাপনবিহীন বা ক্লিন ফিড সরবরাহ করে এমন ২৪টি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার করতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ফলে বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা, স্টার স্পোর্টস, টেন স্পোর্টস, ডয়চে ভেলের মত চ্যানেলগুলো আবার দেখতে পারছেন দর্শকরা।
কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাবেক মহাসচিব নিজাম উদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, সোমবার বিকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে ২৪টি বিদেশি টিভি চ্যানেলের তালিকা পাওয়ার পর সেগুলো তারা খুলে দিতে বলেছেন।
সরকারি নির্দেশনা মানতে গিয়ে গত শুক্রবার ৬০টির মত বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় পরিবেশক ও কেবল অপারেটররা।
এর মধ্যে জি বাংলা, স্টার জলসা, সনি লাইভের মত জনপ্রিয় ভারতীয় চ্যানেল যেমন ছিল, তেমনি বিবিসি, সিএনএনের মত নিউজ চ্যানেল এবং স্টার স্পোর্টস, টেন স্পোর্টসের মত খেলার চ্যানেলও ছিল।
বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ অভিযোগ করেন, একযোগে সব বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করতে গিয়ে ক্লিন ফিড দেয় এমন ১৭টি টিভি চ্যানেলও বন্ধ রেখেছেন পরিবেশক ও কেবল অপারেটররা; যা টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের পরিপন্থি।
মন্ত্রীর হুশিয়ারির মধ্যে কেবল অপারেটররা বলেছিলেন, সরকারের তরফ থেকে সেই চ্যানেলগুলোর তালিকা পেলে তারা সম্প্রচার করবেন।
পরে ‘ক্লিন ফিড’ সরবরাহ করে এমন ২৪টি টিভি চ্যানেলের তালিকা দেয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
তালিকায় থাকা চ্যানেলগুলো হল- বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা এইচডি, ডিডাব্লিউ, কেবিএস ওয়ার্ল্ড, এআরআই র্যাংগ টিভি, এনএইচকে ওয়ার্ল্ড, সিজিটিএন, রাশিয়া টুডে, ফ্রান্স ২৪, লোটাস, ট্রাভেল এক্সপি এইচডি, আল কুরান, আল সুন্না, টেন স্পোর্টস, ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, দুবাই স্পোর্টস, মাস্তি টিভি, বিফরইউ মিউজিক, এমটিভি, স্টার স্পোর্টস ১, স্টার স্পোর্টস-২, স্টার স্পোর্টস ৩, স্টার স্পোর্টস ৪।