নীল পানি ঘেরা এক দ্বীপ, নাম সেন্টমার্টিন। বেশিরভাগ মানুষেরই ইচ্ছে থাকে, অন্তত একবার দ্বীপটি চষে বেড়ানোর। কিন্তু খরচের কারণে তা অনেকেরই হয়ে ওঠেনা। কিছু উপায় জানা থাকলে খুব কম খরচে সেন্টমার্টিন ঘোরা সম্ভব। জেনে নিন সাত উপায়-
জাহাজ চালুর পরপরই যান
বঙ্গোপসাগর শান্ত হলেই টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচল শুরু হয়। প্রথম দিকে পর্যটকদের খুব বেশি চাপ থাকে না। তাই তখন সবকিছুর দাম হাতের নাগালে থাকে। গত বছর অক্টোরের শেষ সপ্তাহে গিয়ে আমরা ডাব কিনেছিলাম ২০ টাকা দরে! মনে রাখবেন, কম খরচে ঘুরতে চাইলে শুক্র-শনিবার, বিশেষ ছুটির দিন এবং ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাস এড়িয়ে চলতে হবে।
বাজারের আশেপাশে থাকুন
বীচের পাশের রিসোর্ট মানেই গুনতে হবে চওড়া দাম। বাজারের ভেতরের হোটেলগুলোর ভাড়া তার অর্ধেক; তবে থাকতে কোনো সমস্যা হবেনা। সুন্দর কোনো ভিউও পাবেন না এসব হোটেল থেকে। তবে সেটার দরকার মিটিয়ে ফেলা যায়, রাতে সৈকতে বসে চাঁদ আর সাগর দেখে।
ভ্যান ভাড়ায় সাবধান
সেন্টমার্টিন জেটিতে যখন জাহাজ ভিড়ে তখন ভ্যানের ভাড়াও বেড়ে যায়। আপনি যদি বাজারের পাশের কোনো রিসোর্টে ওঠেন তাহলে ভ্যানের খরচ বেঁচে যাবে। তবে বাজার থেকে দূরের কোনো রিসোর্টে থাকতে চাইলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর ভাড়া করুন।
দুপুরে কিনতে মানা!
অনেকেই সেন্টমার্টিনে একদিনের ট্যুরে আসেন। তাই প্রতিদিনই জাহাজ আসা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত পুরো দ্বীপ সরগরম থাকে। তখন কেনাকাটা যথাসম্ভব কম করবেন। কারণ এসব পর্যটকদের জন্য জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়।
সঙ্গী হোক সাইকেল
সেন্টমার্টিনে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও ‘বাইসাইকেল’ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সাইকেল চালিয়ে দ্বীপটির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় বলেই ক্রমশ সাইকেলের চাহিদা বাড়ছে। তবে সাইকেল নেয়ার আগে দেখে শুনে নিন, কারণ বেশিভাগ সাইকেলের কন্ডিশন ভালো থাকেনা।
ছেঁড়া দ্বীপ যেতে
ছেঁড়া দ্বীপে যাওয়ার জন্য লাইফবোট, ট্রলার কিংবা স্পিডবোট সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। সাইকেলে গেলে গরমে গরমে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। জেনে রাখা ভালো, সেন্টমার্টিনে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।
স্থানীয়দের সঙ্গে সখ্যতা
সেন্টমার্টিনের স্থানীয়রা অনেক মিশুক ও সহজ সরল। এখানকার মানুষগুলো আপনাকে যেকোনো বিষয়ে সাহায্য করতে প্রস্তুত। তাই তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলুন।