বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়াকে আটক করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তবে তাদের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। নরসিংদীর শিবপুরের ছাত্রদল নেতা সুমন আমাদের সময় অনলাইনকে জানান, সানাউল্লাহ মিয়াকে আটকের আড়াই ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করে নরসিংদী ডিবি পুলিশের ওসি সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা তাকে (সানাউল্লাহ মিয়া) আটকই করিনি, তাহলে ছাড়ব কেন?’ আজ সোমবার দুপুরে শিবপুরের ইঠাখোলা থেকে সানাউল্লাহ মিয়াসহ বিএনপির ১২ জন নেতাকর্মীকে আটকের খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে মাধবদী থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস তিনজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে নরসিংদী পুলিশ সুপার আমেনা বেগম ছয়জনকে এবং নরসিংদী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা তিনজনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে এসে আটক হওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান উদ্দিন মোল্লা, সহসভাপতি জামাল আহমেদ চৌধুরী, শহর বিএনপির সভাপতি গোলাম কবির কামাল প্রমুখ। এদিকে নরসিংদীর পলাশি থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ আরও তিনজনকে আটক করার কথা স্বীকার করেছেন। জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সিলেট সফরকে কেন্দ্র করে আজ সোমবার সকাল থেকেই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয় বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নরসিংদীর মাধবদী, ভেলানগর, ইটাখোলা, বারৈচাসহ বিভিন্ন স্থানে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হয় তারা। তবে মহাসড়কে বিএনপিপন্থী কোনো নেতাকর্মীকে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান নিতে দেয়নি পুলিশ। এ সময় খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর লক্ষ্য করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা জুতা নিক্ষেপের চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে পুলিশের বাধার মুখে সরে যান তারা।