বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা খায়রুন সুন্দরী খ্যাত শহীদ উল্লাহ তালুকদার মুকুল ওরফে মুকুল তালুকদার আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রোববার (২০ নভেম্বর) ভোরে তিনি শেরপুরের নালিতাবাড়ী শহরের মধ্যবাজারস্থ নিজ বাস ভবনে মৃত্যুবরণ করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শহীদ উল্লাহ তালুকদার মুকুল রোববার ভোরে প্রাতভ্রমণ শেষে বাসায় ফিরেন। এসময় বাসায় কোন লোকজন ছিল না। এর কিছুক্ষণ পর খোলা দরজা দিলে বাসার এক ভাড়াটিয়া মুকুল তালুকদারকে ফ্লোরে অচেতন অবস্থা পরে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে লোকজন এসে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ছেলে নৌবাহিনী অফিসার নাফিস, এক মেয়ে সারা, ছোট বোন পুলিশ সুপার ফাহিতা ইয়াসমিন ডলি, ছোট ভাই এলজিআরডি কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বকুলসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মুকুল তালুকদার খায়রুন সুন্দরী সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এরপর প্রায় ২০টির মতো ছবিতে খল চরিত্রে অভিনয় করেন।
এছাড়াও তিনি উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নে টানা দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুকুল তালুকদার ঝিনাইগাতি আদর্শ ডিগ্রী কলেজে শিক্ষকতাও করেছেন। এক সময়ের ফুটবলার এ তারকা এলাকায় নানা অঙ্গনে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তার মৃত্যুতে ক্রীড়া, সাংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এখনও পর্যন্ত তার নামাজে জানাযার সময় ও স্থান নির্ধারণ হয়নি।