ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (এমএমসি) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডীয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহম্মেদ বলেছেন, কোন প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়।
সর্ববৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তাঁর প্রোফাইলে এমন মন্তব্যে করেন।
তিনি সেখানে জানান, অনেকেই তাকে নিয়ে অতি উৎসাহী হয়ে মন্তব্য করে বলেন যে, তিনি পরিচালক হিসেবে না থাকলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল খুব দ্রুত আগের মত হয়ে যাবে। এটা নেতিবাচক এবং স্বার্থপরতার ভাবনা বলে মনে করেন পরিচালক নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, কোন প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান একটা সিস্টেম এর মধ্যে চলে।
তাই নিজেই নিজের অধিকার আদায় করে নিতে হবে। আর সামষ্টিক যেকোন অধিকার আদায় করার জন্য একতাবদ্ধ হয়ে থাকা জরুরি। তাতে কোন অপশক্তি কোন ধরনের ক্ষতি করতে পারবে না। আমি অধিকার আদায় করার পথ দেখিয়েছি। নিজেদের দায়িত্ব ভুলে গেলে, নিস্ক্রিয় হলে অপশক্তি মাথাচাড়া উঠবে, এটা মাথায় রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাতে নিশ্চিত ভালো কিছু পাওয়া যাবে।
এমএমসি হাসপাতালের সকল সার্ভিসের মান বাড়াতে আপনাদের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল, আছে। আর ময়মনসিংহবাসীরা আমাকে সবসময় সকল সহযোগিতা করে আসছেন বলেই আজ আমি এমএমসি হাসপাতালকে নিরাপদ করতে পেরেছি৷ আমি যতদিন এখানে আছি ততদিন এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে সবার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের শুধু প্রত্যাশা করলেই চলবেনা। যেকোন উন্নয়নের জন্য নাগরিক হিসেবে সবার দায়িত্ব রয়েছে। নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারলেই এই সোনার বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে, যেমনটা আমরা এগিয়ে চলছি এর ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য নাগরিকদের বেশ কিছু নৈতিক দায়িত্ব আছে, সেগুলো মেনে চলতে হবে। যেমন- ১০০০ বেডের হাসপাতালে কেন তিন সহস্রাধিক রোগী ভর্তি রাখতে হবে? এতে কি রোগীর সেবার মান কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা? কেন বৃহত্তর ময়মনসিংহে বা ময়মনসিংহ বিভাগে জেনারেল হাসপাতাল নেই? কেন ময়মনসিংহে দালাল নির্ভর প্রাকটিস চলে? এসকল প্রশ্ন এবং সমাধানের পথ খোঁজে বেড় করা সকলের দায়িত্ব। এগুলো নিয়ে আপনাকে আমাকে কাজ করতে হবে এবং নিয়ম মেনেই তা করতে হবে। স্বেচ্ছাচারিতা বা স্বার্থপরতা প্রদর্শন করে কোন কিছু আদায় করা যায়না।
কে বা কারা সমাজের কল্যানের জন্য এবং কে বা কারা ক্ষতিকর তাদের চিহ্নিত করার দায়িত্বও সকল নাগরিকের উপর বর্তায়।
তিনি উপমা দিতে গিয়ে বলেন, বৃটিশরা আমাদের নিষ্ক্রিয়তার জন্য প্রায় ২০০ বছর আমাদেরকে গোলাম বানিয়ে রেখেছিল। আর এর পিছনে দেশীয় কিছু মীরজাফর বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিল বলেই তারা এসুযোগ পেয়েছিলো। তাই তিনি সবার উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন ” কথা কম বলে, কাজ বেশি করার চেষ্টা করুন”। তবেই আমরা হব সেরা দেশের সেরা নাগরিক।