
জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের বক্তব্য সমর্থন করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘তিন মন্ত্রীসহ আমি কিছু দিনের মধ্যে পদত্যাগ করব। আমাদের কাউকেই মন্ত্রিসভায় নেওয়া ঠিক হয়নি। বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ সংসদে এ বিষয়ে সঠিক কথাটি বলেছেন।’ আজ শুক্রবার সকালে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমাদের বিরোধী দল হতে দেন, নয়তো সবাইকে মন্ত্রী বানিয়ে দেন।’ তিনি বলেন, সংসদে বিরোধী দল আছে কিনা তা জাতীয় পার্টি বলতে পারে না। বিরোধী দল হিসেবে কোথাও সাক্ষাতকারও দেয় না তারা। এরশাদ বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় আমাদের লোক থাকায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। অনেক সমালোচিত হয়েছি আমরা। তবে সরকারি দলের সঙ্গে মন্ত্রিসভায় যোগদান করার বিষয়টি ছিল রাজনৈতিক কৌশল। জার্মানিসহ অনেক দেশে এ নজির আছে। তবে আমরা আর মন্ত্রিসভায় থাকতে চাই না।’ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি ছয় বছর দুই মাস কারাগারে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে সব মামলাই ছিলো জামিন যোগ্য, তার পরেও জামিন পাইনি। হাইকোর্ট আদেশ দেওয়ার পরেও আমাকে সংসদে আসতে দেওয়া হয়নি।’ ‘পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো নেতাই আমার মতো নির্যাতন ভোগ করেনি। আমার প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে তার নজির নেই’-বলেন এরশাদ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসবে কিনা সে ব্যাপারে তার যথেষ্ট সংশয় আছে বলেও জানান জাপা চেয়ারম্যান। সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না এলেও কিছু আসে যায় না। নির্বাচন যথা সময়ে হবে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। তার পরেও সরকার চেষ্টা করছে। আমরাও মনে করি বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।’ জাতীয় পার্টি আগামী ২৪ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘আশা করছি সেখানে পাঁচ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। আমরা দেখাতে চাই জাতীয় পার্টি কতটা শক্তি সঞ্চয় করেছে। আগামীতে আমরা জনগণের রায় নিয়ে এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চাই।’ এ সময় দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহাম্মেদ বাবলু, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা প্রমুখ।
