শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে শনিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে পাকা বোরোধান ক্ষেত, গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩০ হেক্টর জমির পাকা বোরোধান ক্ষেত। ঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে গড়কান্দা মহল্লার এতিমখানার দুই তলার দেয়াল। উড়িয়ে নিয়ে গেছে টিনের চাল। রাস্তার গাছ ভেঙ্গে পরে অসহায় এক ব্যক্তির বসতঘর সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে ওই পরিবারটি।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ শুরু হয় কাল বৈশাখী ঝড়। একই সাথে শুরু হয় শিলা বৃষ্টি। ঝড়ে পৌরশহরের গড়কান্দা মহল্লায় এতিমখানার দুই তলার সিড়ির উপর টিনের চাল উড়ে যায়। ভেঙ্গে পরে ইটের দেয়াল। একই মহল্লায় রাস্তায় উপড়ে পরে গাছ। ঝড় পরবর্তী সময়ে সকাল পর্যন্ত বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। জামিরাকান্দা গ্রামে রাস্তার ধারে সৃজিত সরকারী গাছ ভেঙ্গে পরে রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির বসতঘরে। এতে অসহায় রিয়াজ উদ্দীন ও তার পরিবারের সদস্যরা কোনো রকমে প্রাণে বাঁচেন। লন্ডভন্ড হয়ে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় একমাত্র এই বসতঘরটি। ওই পরিবারের সদস্যরা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
এদিকে, শিলাবৃষ্টিতে বাঘবেড়, কলসপাড়, রাজনগর ইউনিয়নের ৩০ হেক্টর জমির পাকা ও আধাপাকা বোরোধান ক্ষেত আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বেশকিছু জমিতে শিল পড়ে শীষে ধান নেই। জমিতে পড়ে আছে এসব জমির ধান। শিলাবৃষ্টির এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের স্বপ্ন মাটিতে মিশে গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় রিয়াজ উদ্দীনের পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছি। সরকারীভাবে ওই পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. অনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলায় বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ৩০ হেক্টর জমির বোরো ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে পরবর্তীতে সরকারী প্রণোদনার আওতায় এনে তাদেরকে সহযোগীতা প্রদান করা হবে।