শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কালচারাল একাডেমি স্থাপন ও গারো পাহাড়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষে খাসজমি চিহ্নিতকরণ, উদ্ধার ও পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসন। শনিবার (৭ জানুয়ারী) বিকেলে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা কাটাবাড়ি পাড়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত বিভিন্ন দাগের ৩৫০ একর পাহাড়ি টিলা শ্রেণির খাসজমি চিহ্নিতকরণ, উদ্ধার ও পরিদর্শন করা হয়।
সুত্র জানায়, নালিতাবাড়ীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে একটি কালচারাল একাডেমি স্থাপনের দাবিটি ছিল দীর্ঘ দিনের। সেই দাবী পুরণের লক্ষে ও প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যে ভরপুর গারো পাহাড়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় ধরে পায়ে হেঁটে পাহাড়ি উঁচু নিচু টিলা বেয়ে বেয়ে বিভিন্ন দাগের খাসজমিগুলো পরিদর্শন করেন। এছাড়া ওইসব এলাকার টিলাগুলোতে বন্যহাতির চলাচলের পথও পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নালিতাবাড়ীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঈফফাত জাহান তুলি, নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার, ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা, আনসার সদস্য ও স্থানীয় আমিনসহ অন্যান্যরা। চিহ্নিত, উদ্ধারকৃত ও পরিদর্শনকৃত খাসজমিতে কালচারাল একাডেমিসহ গারো পাহাড়ে অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছেন।