শেরপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। সেই সাথে ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। অভিযোগ করা হয়েছে লুটপাটেরও।
শেরপুর সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই মেম্বার প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে আজ সকালে এই সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৭ জনকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ও আশংকাজনক আরও তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নির্বাচনের দিন কামারের চর ইউনিয়নের ৬নং চর এলাকার মেম্বার প্রার্থী আহসান হাবীব ও মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে কেন্দ্র বন্ধ করে নির্বাচন অফিসার।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার সকালে মুক্তার সর্মথক রা হামলা করে আহসান হাবীব সর্মথকদের ঘর-বাড়ীতে এ সময় লুটপাট চালানো হয়। এ সময় তাদের হামলায় কুলছ মেম্বারের ছেলে নয়ন, জব্বার মন্ডলের ছেলে শহীন, মুনছের মন্ডলের ছেলে শুগুরসহ ১৫ জন আহত হয়।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।
কামারের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব শেরপুর টাইমসকে বলেন, এই এলাকায় দুজন মেম্বার প্রার্থীর লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে আমরা এখন ঘটনাস্থলে রয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর সদর থানার (ওসি-তদন্ত) বন্দে আলী শেরপুর টাইমসকে জানান, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।