ক্রয়মূল্য থেকে বিক্রয়মূল্য অস্বাভাবিক বেশি, কম দামে পণ্য কিনে একদর প্রদর্শন, ভোক্তাদের সাথে দাম কষাকষিসহ বিভিন্ন অনিয়ম রোধে শেরপুরের কাপড়ের দোকানে অভিযান শুরু করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তাদের এসব হয়রানি ও প্রতারণা থেকে মুক্তি দিতে বৃহস্পতিবার জেলা শহরের তেরা বাজারে তৈরী পোষাকের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্বাবধানে ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ভোক্তাদের হয়রানি রোধে পৌর শহরের পোষাকের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এসময় ক্রয়মূল্য থেকে বিক্রয়মূল্য অস্বাভাবিক বেশি প্রদর্শন ও পণ্য ক্রয়ের অধিকাংশ ভাউচার দেখাতে না পারায় তেরা বাজার এলাকার ইরানী বোরকা হাউজে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালনা রুবেল আহমেদ।
অভিযান চলাকালে কাপড়ের দোকানে দাবিকৃত বিক্রয়মূল্যের সাথে ক্রয় রশিদে উল্লেখিত মূল্যের অসামঞ্জস্য, ক্রয় রশিদ প্রদর্শন করতে না পারা, অতিরিক্ত মূল্যে কাপড় বিক্রি করা, এবং কাপড়ের গায়ে স্টিকারে সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য নিশ্চিত করতে বৃহঃবার দিনব্যাপী বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান চালিয়েছে অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়।
এদিকে একই দিন অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরীর অভিযোগে পৌর শহরের চাপাতলী এলাকার সাগর ফুড প্রোডাক্টসে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে ঈদকে সামনে রেখে ভোক্তাদের সাথে অনিয়ম যাতে না করা হয় এবং যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় না করা হয়, সেজন্য নিউমার্কেট ও রঘুনাথ বাজার এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে সতর্ক করা হয়।
এসময় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঈদের কেনাকাটায় ভোক্তাদের হয়রানি ও প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে শাড়ি-কাপড় ও প্রসাধনি সামগ্রির দোকান এবং পরিবহন খাতে এধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে।
তবে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে প্রাথমিক অবস্থায় জরিমানার পরিমাণ সীমিত রেখে সচেতনতামূলক প্রচারণায় জোর দিচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তর অধিদপ্তর শেরপুর জেলা কার্যালয়।